শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি

শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। ঘন কুয়াশা আর হিম ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ। এই অবস্থা আরও ২-৩ দিন থাকতে করতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতর।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষ। কৃষিখেতে শ্রমিকরা এবং যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। এছাড়াও কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে বোরো বীজতলা ও আলুখেত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষক। ছত্রাকের আক্রমণ থেকে আলুখেত রক্ষা করতে ঘন ঘন ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে কৃষকদের। তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কৃষকরা করছেন বোরো রোপণের কাজ।

কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচরের কৃষক আবদার হোসেন জানান, এবার অনেক খরচ করে আলু লাগিয়েছি। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সদ্য বেড়ে ওঠা আলুখেত নিয়ে চিন্তায় আছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দিন মিঞা জানান, শৈত্যপ্রবাহ ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় আবাদের তেমন কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় শীতার্তদের জন্য এক কোটি ৮ লক্ষ টাকার কম্বল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত আরও ৩৫ হাজার ৭শ কম্বল বিভিন্ন উপজেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত ৬ হাজার সুয়েটার ও ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি

প্রকাশিত সময় : ০৩:১৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। ঘন কুয়াশা আর হিম ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ। এই অবস্থা আরও ২-৩ দিন থাকতে করতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতর।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষ। কৃষিখেতে শ্রমিকরা এবং যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। এছাড়াও কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে বোরো বীজতলা ও আলুখেত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষক। ছত্রাকের আক্রমণ থেকে আলুখেত রক্ষা করতে ঘন ঘন ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে কৃষকদের। তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কৃষকরা করছেন বোরো রোপণের কাজ।

কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচরের কৃষক আবদার হোসেন জানান, এবার অনেক খরচ করে আলু লাগিয়েছি। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সদ্য বেড়ে ওঠা আলুখেত নিয়ে চিন্তায় আছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দিন মিঞা জানান, শৈত্যপ্রবাহ ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় আবাদের তেমন কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় শীতার্তদের জন্য এক কোটি ৮ লক্ষ টাকার কম্বল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত আরও ৩৫ হাজার ৭শ কম্বল বিভিন্ন উপজেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত ৬ হাজার সুয়েটার ও ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।