মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাইরাল ব্যালে বালিকা নওগাঁর ইরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্ষরিক অর্থেই এখন প্রশংসার হাওয়ায় ভাসছে ছবিগুলো।

নাচের এ ধরণকে ব্যালে-জিমনেস্টির সমন্বয়ে বলে এক ধরনের নৃত্যকলা। এখানে নাচের সঙ্গে অভিনয় এবং সংগীতের অপূর্ব সমন্বয় ঘটে। শাবিপ্রবি’র চলমান ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে পোস্টার থাকায় অনেকে বিষয়টি আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। কেউ কেউ আরেক ধাপ এগিয়ে ছবিগুলোর ক্যাপশনে জুড়ে দিচ্ছেন বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী পঙ্কক্তিমালা। ছবির বালিকাটির নাম মোবাশ্বিরা কামাল ইরা।

 ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নওগাঁ শহরের জগৎসিংহপুর মহল্লার বটতলা মোড় সংলগ্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের আবু হায়াৎ মোহাম্মদ কামাল ও ফাহমিদা আক্তার দম্পত্তি চার মেয়ের মধ্যে তৃতীয় মোবাশ্বিরা কামাল ইরা। বাবা একজন স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী ও মা গৃহিনী। বড় দুই বোন আলাদা প্রতিভার অধিকারী।

নওগাঁ সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষে বাণিজ্য শাখায় পড়ছেন তিনি। ২০২০ সালে নওগাঁ সীমান্ত পাবলিক স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। দেশের সীমান্তবর্তী মফস্বল নওগাঁ শহর থেকে পড়ালেখা ও অনুশীলন করে সাফল্য এনেছেন অনেক। ছোট থেকেই ছিলেন অদম্য মেধাবী ও চঞ্চল প্রকৃতির।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরা

শৈশবে নাচের শিক্ষক সুলতান মাহমুদের কাছে নাচ শিখেছেন তিনি। পরে ঢাকায় ভরতনাট্যম নাচ শেখেন। ২০২০ সালে লকডাউনের সময় ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিখতে শুরু করেন ব্যালে। ব্যালে-জিমন্যাস্টিক মিলিয়ে পারফর্ম করেন। এ জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এরপর ২০২১ থেকে সাধনা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মোবাশ্বিরা কামাল ইরা ঢাকায় গিয়েছিলেন শিল্পকলার ২০-২২ জানুয়ারি নৃত্য উৎসবে। সেখাে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার ন জয়িতা আফরিন এর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত ২৩ জানুয়ারি সকালে ইরাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এমন সময় চোখে পড়ে রাজু ভাস্কর্যে পাশে চলমান বিভিন্ন আন্দোলনের প্লাকার্ড সাঁটানো। সেখানে কয়েকটি ফটোশুট করেন। পরে ২৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুকে আপলোড করা হয়। সে ছবিগুলো অসংখ্য মানুষ শেয়ার দিচ্ছেন। তার সেই ফটোগ্রাফি মুহূর্তে ভাইরাল হয় ফেসবুকে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরা বলেন, ২০২০ সালে এসএসসি পাশ করার পর করোনাভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউন শুরু হয়। তখন মায়ের পরামর্শে ঘরে বসে ইন্টারনেট দেখে ‘ব্যালে’ শিখা। সবসময় ইচ্ছা ছিল নতুন কিছু শিখা। মফস্বল থেকে কাজ করাটা অনেক কঠিন ছিল। বাসায় প্যাকটিস করার মতো জায়গা ছিল না। মা ড্রয়িং রুম ফাঁকা করে সেখানে প্যাকটিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অনেকেই আমার নাচ ভাল ভাবে না নিলেও অনেকেই উৎসাব জুগিয়েছেন।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

২৩ জানুয়ারি ফটোশুট করা হলেও ২৫ জানুয়ারি আপলোড করা হয়। ফটোশুটের আগে এবং পরে ভয়ে ছিলাম। ছবি ফেসবুকে আপলোড করার ২ ঘণ্টা পরও দুশ্চিন্তায় ছিলাম আগের মতো সাড়া পাবো কি না। এরপর বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন পেজে শেয়ার হতে থাকে। এখন বিভিন্ন মিডিয়া সাক্ষাতকার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নাচ নিয়ে পড়াশুনার ইচ্ছা ব্যক্ত করে ইরা বলেন, ‘ভালোভাবে পড়াশুনা করে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই। আমরা যে নাচ করি যেন নাচের মাধ্যমে কথা বুঝাতে পারি। কথা দিয়ে নাচ না। আমাদের নাচের সংস্কৃতিকে বাইরের দেশে এবং বাইরের নাচের সংস্কৃতিকে দেশে পরিচিত করতে চাই। এ দুইয়ের সংমিশ্রনে নতুন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ইরার মা ফাহমিদা আক্তার বলেন, শুরু থেকে পারিবারিক তেমন সাপোর্ট পাওয়া যায়নি। মেয়ের ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকায় চেষ্টা করেছি এ জায়গা পর্যন্ত পৌঁছানো। নাচের পাশাপাশি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় ক্রিকেট ও টেনিস খেলতো। এখনও নাচের পাশাপাশি জিম ও স্কেটিং খেলে।  ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবে বলে আশাবাদী। মেয়ে যেন প্রকৃত মানুষ হয় এবং পড়াশুনার পাশাপাশি সে যা করছে তা চালিয়ে যাবে। মেয়েকে নিয়ে অনেক আশা।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ইরার বাবা আবু হায়াৎ মোহাম্মদ কামাল বলেন, প্রথম চাওয়া হিসেবে মেয়ে পড়াশুনা করে শিক্ষিত হবে এবং চাকরি করবে। আর দ্বিতীয়ত এ নাচকে সারাবিশ্বে পরিচিত করাসহ দেশের সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। মেয়ে যতটুকু সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছে সবটুকু চেষ্টা তার মায়ের। মেয়ের জন্য সে অনেক চেষ্টা ও ত্যাগ স্বীকার করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

ভাইরাল ব্যালে বালিকা নওগাঁর ইরা

প্রকাশিত সময় : ০১:৫০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্ষরিক অর্থেই এখন প্রশংসার হাওয়ায় ভাসছে ছবিগুলো।

নাচের এ ধরণকে ব্যালে-জিমনেস্টির সমন্বয়ে বলে এক ধরনের নৃত্যকলা। এখানে নাচের সঙ্গে অভিনয় এবং সংগীতের অপূর্ব সমন্বয় ঘটে। শাবিপ্রবি’র চলমান ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে পোস্টার থাকায় অনেকে বিষয়টি আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। কেউ কেউ আরেক ধাপ এগিয়ে ছবিগুলোর ক্যাপশনে জুড়ে দিচ্ছেন বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী পঙ্কক্তিমালা। ছবির বালিকাটির নাম মোবাশ্বিরা কামাল ইরা।

 ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নওগাঁ শহরের জগৎসিংহপুর মহল্লার বটতলা মোড় সংলগ্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের আবু হায়াৎ মোহাম্মদ কামাল ও ফাহমিদা আক্তার দম্পত্তি চার মেয়ের মধ্যে তৃতীয় মোবাশ্বিরা কামাল ইরা। বাবা একজন স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী ও মা গৃহিনী। বড় দুই বোন আলাদা প্রতিভার অধিকারী।

নওগাঁ সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষে বাণিজ্য শাখায় পড়ছেন তিনি। ২০২০ সালে নওগাঁ সীমান্ত পাবলিক স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। দেশের সীমান্তবর্তী মফস্বল নওগাঁ শহর থেকে পড়ালেখা ও অনুশীলন করে সাফল্য এনেছেন অনেক। ছোট থেকেই ছিলেন অদম্য মেধাবী ও চঞ্চল প্রকৃতির।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরা

শৈশবে নাচের শিক্ষক সুলতান মাহমুদের কাছে নাচ শিখেছেন তিনি। পরে ঢাকায় ভরতনাট্যম নাচ শেখেন। ২০২০ সালে লকডাউনের সময় ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিখতে শুরু করেন ব্যালে। ব্যালে-জিমন্যাস্টিক মিলিয়ে পারফর্ম করেন। এ জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এরপর ২০২১ থেকে সাধনা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মোবাশ্বিরা কামাল ইরা ঢাকায় গিয়েছিলেন শিল্পকলার ২০-২২ জানুয়ারি নৃত্য উৎসবে। সেখাে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার ন জয়িতা আফরিন এর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত ২৩ জানুয়ারি সকালে ইরাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এমন সময় চোখে পড়ে রাজু ভাস্কর্যে পাশে চলমান বিভিন্ন আন্দোলনের প্লাকার্ড সাঁটানো। সেখানে কয়েকটি ফটোশুট করেন। পরে ২৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুকে আপলোড করা হয়। সে ছবিগুলো অসংখ্য মানুষ শেয়ার দিচ্ছেন। তার সেই ফটোগ্রাফি মুহূর্তে ভাইরাল হয় ফেসবুকে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরা বলেন, ২০২০ সালে এসএসসি পাশ করার পর করোনাভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউন শুরু হয়। তখন মায়ের পরামর্শে ঘরে বসে ইন্টারনেট দেখে ‘ব্যালে’ শিখা। সবসময় ইচ্ছা ছিল নতুন কিছু শিখা। মফস্বল থেকে কাজ করাটা অনেক কঠিন ছিল। বাসায় প্যাকটিস করার মতো জায়গা ছিল না। মা ড্রয়িং রুম ফাঁকা করে সেখানে প্যাকটিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অনেকেই আমার নাচ ভাল ভাবে না নিলেও অনেকেই উৎসাব জুগিয়েছেন।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

২৩ জানুয়ারি ফটোশুট করা হলেও ২৫ জানুয়ারি আপলোড করা হয়। ফটোশুটের আগে এবং পরে ভয়ে ছিলাম। ছবি ফেসবুকে আপলোড করার ২ ঘণ্টা পরও দুশ্চিন্তায় ছিলাম আগের মতো সাড়া পাবো কি না। এরপর বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন পেজে শেয়ার হতে থাকে। এখন বিভিন্ন মিডিয়া সাক্ষাতকার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নাচ নিয়ে পড়াশুনার ইচ্ছা ব্যক্ত করে ইরা বলেন, ‘ভালোভাবে পড়াশুনা করে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই। আমরা যে নাচ করি যেন নাচের মাধ্যমে কথা বুঝাতে পারি। কথা দিয়ে নাচ না। আমাদের নাচের সংস্কৃতিকে বাইরের দেশে এবং বাইরের নাচের সংস্কৃতিকে দেশে পরিচিত করতে চাই। এ দুইয়ের সংমিশ্রনে নতুন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে উঠানো ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ইরার মা ফাহমিদা আক্তার বলেন, শুরু থেকে পারিবারিক তেমন সাপোর্ট পাওয়া যায়নি। মেয়ের ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকায় চেষ্টা করেছি এ জায়গা পর্যন্ত পৌঁছানো। নাচের পাশাপাশি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় ক্রিকেট ও টেনিস খেলতো। এখনও নাচের পাশাপাশি জিম ও স্কেটিং খেলে।  ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবে বলে আশাবাদী। মেয়ে যেন প্রকৃত মানুষ হয় এবং পড়াশুনার পাশাপাশি সে যা করছে তা চালিয়ে যাবে। মেয়েকে নিয়ে অনেক আশা।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্যালে বালিকা মোবাশ্বিরা কামাল ইরার ছবি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ইরার বাবা আবু হায়াৎ মোহাম্মদ কামাল বলেন, প্রথম চাওয়া হিসেবে মেয়ে পড়াশুনা করে শিক্ষিত হবে এবং চাকরি করবে। আর দ্বিতীয়ত এ নাচকে সারাবিশ্বে পরিচিত করাসহ দেশের সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। মেয়ে যতটুকু সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছে সবটুকু চেষ্টা তার মায়ের। মেয়ের জন্য সে অনেক চেষ্টা ও ত্যাগ স্বীকার করেছে।