বেশিরভাগ ওষুধেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলও এর ব্যতিক্রম নয়। সাধারণত দুই ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বাজারে পাওয়া যায়-কম্বিনেশন পিল ও প্রজেস্টিন অনলি পিল।
কম্বিনেশন পিলে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন থাকে। এটা ডিম্বোস্ফোটন প্রতিরোধ করে থাকে, অর্থাৎ ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হতে দেয় না।
অন্যদিকে প্রজেস্টিন অনলি পিলে শুধু প্রজেস্টিন থাকে, ইস্ট্রোজেন নেই। এটা ডিম্বোস্ফোটন প্রতিরোধ করে না। এর পরিবর্তে জরায়ুস্থ তরলের ঘনত্ব বাড়িয়ে ডিম্বোস্ফোটন প্রক্রিয়াকে ধীর করে ফেলে, যার ফলে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলিত হতে পারে না। এই পিলের আরেকটি কাজ হলো, জরায়ুর অভ্যন্তরীণ স্তরকে পাতলা করে ফেলা। এর ফলে জরায়ুতে নিষিক্ত ডিম্বাণু সংযুক্ত হতে পারে না।
উভয় ধরনের পিল বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যেমন- পেটফাঁপা, মেজাজের পরিবর্তন, বমিভাব, যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের একটি বিস্ময়কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো, স্তনের আকার বেড়ে যাওয়া। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের নতুন ব্যবহারকারীরা কিছুদিন পর লক্ষ্য করতে পারেন যে, স্তনের অন্তর্বাসগুলো আর ফিট হচ্ছে না। আপনার এমনটা ঘটলে এটা ধারণা করতে পারেন যে, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবনের কারণে স্তনের আকার বেড়েছে।
কানাডার অবস্টেট্রিসিয়ান-গাইনিকোলজিস্ট কনস্টান্স নাসেলো বলেন, ‘ইস্ট্রোজেন স্তনকে ফুলিয়ে তোলে। এমনকি তুলতুলেও করতে পারে। এসবের প্রভাবে স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে।’
সাধারণত কম্বিনেশন পিল সেবনেই স্তনের আকার বেড়ে থাকে। যদি আপনি এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে কম্বিনেশন পিলের বিকল্প গ্রহণ করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: বেস্ট হেলথ ম্যাগাজিন

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























