ফেসবুকের লাইভে এসে নিজের মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ব্যবসায়ী আবু মহসিন খান। ব্যবহৃত সেই লাইসেন্স করা দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অস্ত্র দুটির মধ্যে একটি শটগান এবং অপরটি পিস্তল। ফেসবুকে লাইভে এসে গত বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই পিস্তুল দিয়েই মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এই ঘটনায় পুলিশ বলছে, পিস্তলটি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। আর যেহেতু মহসিন খানের মৃত্যু হয়েছে এবং বাসায় কেউ নেই এ কারণে শটগানটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগতভাবে অস্ত্রের বিষয়ে সুরাহা করা হবে।
এদিকে মহসিন খানের আত্মহত্যার ঘটনায় আরও মামলা হতে পারে। তার স্বজনরা বাদী হয়ে মামলা করতে পারেন। তিনি যাদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের চারজনের নাম-ঠিকানা পেয়েছে পুলিশ। সেসব যাচাই-বাছাই চলছে। কামরুজ্জামান নামে একজনের ঠিকানা সঠিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আত্মহত্যার ঘটনার আগে ওই বাসায় কারও যাতায়াত ছিল কি-না, তা খাতিয়ে দেখতে বাড়ির সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী মহসিন খান দীর্ঘদিন ধরে ধানমন্ডির বাসায় একা থাকতেন। তার একমাত্র ছেলে থাকেন অস্ট্রেলিয়া। স্ত্রীও পাঁচ বছর ধরে ছেলের কাছে রয়েছেন। মেয়ে তিনা ঢাকাতেই থাকেন জামাতা চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে। বুধবার রাতে নিজের বাসায় ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ, অনুশোচনা, নীতি-আদর্শ ও পরিবার এবং সমাজ নিয়ে কথা বলেন মহসিন। হতাশা ব্যক্ত করেন। এরপর মাথায় নিজের নামে লাইসেন্স করা পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন ৫৮ বছরের এই ব্যক্তি। মৃত্যুর আগে সুসাইডাল নোট লিখে যান। মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন মহসিনের জামাতা রিয়াজ।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর মামলার আলামত হিসেবে পিস্তুলটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া মহসিনের বাসায় যেহেতু আর কেউ থাকে না, তাই শটগান সেখানে রাখা নিরাপদ নয়। এ কারণে শটগানটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে লাইসেন্স করা অস্ত্র মহসিনের পরিবারের কেউ নিতে চাইলে পেতে পারেন কি-না, সেটি আদালতের সিদ্ধান্ত।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























