বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেওয়ায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

দেশের বিরুদ্ধে ‘চিঠি দেওয়ায়’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে, দেশকে সাহায্য দিতে নিষেধ করে, সাহায্য দিলেও সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিদেশে চিঠি দেওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবের বিচার হওয়া উচিত, বিএনপিরও বিচার হওয়া উচিত।’

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী অপপ্রচারের অংশ হিসেবে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য, অর্থাৎ বিদেশের কাছে দেশকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এ অভিযোগ যখন আমরা উপস্থাপন করলাম তখন বিএনপি প্রথমে অস্বীকার করেছিল। মির্জা ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, তিনি কোনো চিঠি দেননি।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুল সাহেবের সই করা চিঠি এবং সেই চিঠিতে তিনি বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করার যে কথা বলেছেন এবং একইসঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে তারা যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, সেই দলিল-দস্তাবেজ গণমাধ্যমে উপস্থাপন করলাম, তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে চুপসে গেলেন।’

বিএনপির অপকর্ম দেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হওয়ার পর তাদের মুখে আর কোনো জবাব নেই বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন তারা নানা প্রশ্ন উপস্থাপন করার চেষ্টা করবে, তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য নানা কথা বলবে, এটি খুবই স্বাভাবিক।

হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সরকার নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য, রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য, পিআর অথবা লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বলা হয়েছে—আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এগুলো করার কারণেই আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েছে,  করোনার মধ্যেও রপ্তানি বেড়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার যা করে, আমরা তা-ই করেছি এবং সেগুলো ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ সরকারি চুক্তি। সুতরাং এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।’

দেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধের জন্য বিএনপি মহাসচিব যে চিঠি লিখেছেন, তা যদি ইউরোপের কোনো দেশ হতো তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেব এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন এবং তার বিচার হতো বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেওয়ায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

দেশের বিরুদ্ধে ‘চিঠি দেওয়ায়’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে, দেশকে সাহায্য দিতে নিষেধ করে, সাহায্য দিলেও সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিদেশে চিঠি দেওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবের বিচার হওয়া উচিত, বিএনপিরও বিচার হওয়া উচিত।’

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী অপপ্রচারের অংশ হিসেবে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য, অর্থাৎ বিদেশের কাছে দেশকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এ অভিযোগ যখন আমরা উপস্থাপন করলাম তখন বিএনপি প্রথমে অস্বীকার করেছিল। মির্জা ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, তিনি কোনো চিঠি দেননি।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুল সাহেবের সই করা চিঠি এবং সেই চিঠিতে তিনি বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করার যে কথা বলেছেন এবং একইসঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে তারা যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, সেই দলিল-দস্তাবেজ গণমাধ্যমে উপস্থাপন করলাম, তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে চুপসে গেলেন।’

বিএনপির অপকর্ম দেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হওয়ার পর তাদের মুখে আর কোনো জবাব নেই বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন তারা নানা প্রশ্ন উপস্থাপন করার চেষ্টা করবে, তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য নানা কথা বলবে, এটি খুবই স্বাভাবিক।

হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সরকার নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য, রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য, পিআর অথবা লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বলা হয়েছে—আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এগুলো করার কারণেই আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েছে,  করোনার মধ্যেও রপ্তানি বেড়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার যা করে, আমরা তা-ই করেছি এবং সেগুলো ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ সরকারি চুক্তি। সুতরাং এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।’

দেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধের জন্য বিএনপি মহাসচিব যে চিঠি লিখেছেন, তা যদি ইউরোপের কোনো দেশ হতো তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেব এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন এবং তার বিচার হতো বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।