বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেন্সিডিলের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ফেনসিডিল চোরাচালান মালায় তিনজনের মুত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আবু  সেলিম রানা।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের বেনাপোলের বুজতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম,  নোয়াখালির সেনবাগ থানার আহাম্মদপুর গ্রামের ছেলে আব্দুল হাইয়ের ছেলে ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও মৃত এরশাদ উল্লাহ মাস্টারের ছেলে গোলাম মাওলা। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আবুল কালাম আটক আছে।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে যশোরের র‌্যাব-৬ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বেনাপোল থেকে ফিরোজা কার্গো গাড়িতে ফেনসিডিল নিয়ে যশোরের দিকে আসছে। এজন্য র‌্যাবের একটি দল বেনাপোল সড়কের গলফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করে। সকাল ৮টার দিকে ফিরোজা কার্গো গাড়িটি চেকপোস্টে আসলে তল্লাশি করে ১২টি চটের বস্তার ভিতর থেকে দুই হাজার ২৪৬ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার ওই তিনজনকে আটক করা হয়। এব্যাপারে ডিএডি আফজাল হোসেন তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদলতে চার্জশিট  দেয়া হয়।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেকের মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও  গোলাম মাওলা পলাতক রয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ফেন্সিডিলের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত সময় : ১১:৩২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ফেনসিডিল চোরাচালান মালায় তিনজনের মুত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আবু  সেলিম রানা।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের বেনাপোলের বুজতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম,  নোয়াখালির সেনবাগ থানার আহাম্মদপুর গ্রামের ছেলে আব্দুল হাইয়ের ছেলে ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও মৃত এরশাদ উল্লাহ মাস্টারের ছেলে গোলাম মাওলা। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আবুল কালাম আটক আছে।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে যশোরের র‌্যাব-৬ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বেনাপোল থেকে ফিরোজা কার্গো গাড়িতে ফেনসিডিল নিয়ে যশোরের দিকে আসছে। এজন্য র‌্যাবের একটি দল বেনাপোল সড়কের গলফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করে। সকাল ৮টার দিকে ফিরোজা কার্গো গাড়িটি চেকপোস্টে আসলে তল্লাশি করে ১২টি চটের বস্তার ভিতর থেকে দুই হাজার ২৪৬ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার ওই তিনজনকে আটক করা হয়। এব্যাপারে ডিএডি আফজাল হোসেন তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদলতে চার্জশিট  দেয়া হয়।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেকের মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও  গোলাম মাওলা পলাতক রয়েছেন।