এক এমবিএ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বন্দুকের মুখে দাঁড় করিয়ে নগ্ন হতে বাধ্য করা হয়। তার পর সেই দৃশ্যের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে তিন জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরতে পারলেও বাকি দু’জন পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, এমবিএ পড়ুয়া ওই যুবক ভারতের দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা। তার সঙ্গে অভিযুক্তদের এক জন বন্ধুত্ব করেন। গেল বছরের ২৩ অক্টোবর ঐ যুবককে একটি ঘরে নিয়ে যান। অভিযোগ, তার পরই ওই যুবকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নগ্ন করানো হয়। তার পর গাঁজা, চরম এবং একটি পিস্তল-সমেত ঐ যুবকের ছবি তোলেন অভিযুক্তরা। এর পরই তারা হুমকি দেন, ২০ লাখ টাকা না দিলে ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে।
ঐ যুবকের পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানতে পারার পর অপরহরণকারীদের পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছে তারা। কিন্তু তার পরেও অপহরণকারীরা ঐ যুবকের ছবি এবং ভিডিও এলাকায় এবং তার আত্মীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। বাকি টাকা না দিলে ওই যুবককে খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেই হুমকির ফোন পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন ঐ ভুক্তভোগী যুবক। অভিযোগ, থানার এক কনস্টেবল যুবককে পাল্টা হুমকি দেন। ফলে কোনো উপায় না দেখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাড়িতেই ফনাইল খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন তিনি। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।
পুলিশ জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দুই সঙ্গীকে খোঁজা হচ্ছে। থানার কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























