মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক পায়ে লিখেই জিপিএ-৫ তামান্নার, হতে চান বিসিএস ক্যাডার

যশোরের সেই তামান্না নূরা এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে; যার একটি পা নেই; নেই কোনো হাতও। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি), জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষাও (এসএসসি) ​তামান্না জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
তামান্নার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে। তামান্নার বাবার নাম রওশন আলী। ময়ের নাম খাদিজা পারভীন শিল্পী। বাবা স্থানীয় ছোট পোদাউলিয়া দাখিল মাদরাসার (নন এমপিও) বিএসসির শিক্ষক। মা গৃহিণী। তিন সন্তানের মধ্যে তামান্না সবার বড়।

তামান্না যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কলেজ অধ্যক্ষ সামছুর রহমান বলেন, তামান্না আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী। তার মেধার প্রশংসা আমাদের কলেজ শিক্ষকরা প্রায় করেন। তামান্না জন্মপ্রতিবন্ধী হয়েও নানান প্রতিবন্ধকতা জয় করেছে, দেখিয়ে দিয়েছে সমাজকে।
তামান্নার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অনটনে সেটি এখন থেমে যাওয়ার উপক্রম। স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তামান্না।
তামান্না নূরা বলে, আমার ২টি হাত ও একটি পা নেই। কিন্তু তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার সুস্থ ব্রেন দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আমি সুস্থ আছি। এই জন্য আলহামদুলিল্লাহ।
অধ্যক্ষ সামছুর রহমান বলেন, শুধু পড়াশোনা না, তামান্না ভালো ছবিও আঁকে। এমনকি কম্পিউটার প্রযুক্তিতেও সে দক্ষ। জন্ম থেকেই তার দুটি হাত ও একটা পা নেই। অথচ একটা পা দিয়েই তামান্নার যুদ্ধ চলছে। আমি আশা রাখি সে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করবে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি দরকার সরকারের সহযোগিতা।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এক পায়ে লিখেই জিপিএ-৫ তামান্নার, হতে চান বিসিএস ক্যাডার

প্রকাশিত সময় : ১১:১৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
যশোরের সেই তামান্না নূরা এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে; যার একটি পা নেই; নেই কোনো হাতও। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি), জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষাও (এসএসসি) ​তামান্না জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
তামান্নার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে। তামান্নার বাবার নাম রওশন আলী। ময়ের নাম খাদিজা পারভীন শিল্পী। বাবা স্থানীয় ছোট পোদাউলিয়া দাখিল মাদরাসার (নন এমপিও) বিএসসির শিক্ষক। মা গৃহিণী। তিন সন্তানের মধ্যে তামান্না সবার বড়।

তামান্না যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কলেজ অধ্যক্ষ সামছুর রহমান বলেন, তামান্না আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী। তার মেধার প্রশংসা আমাদের কলেজ শিক্ষকরা প্রায় করেন। তামান্না জন্মপ্রতিবন্ধী হয়েও নানান প্রতিবন্ধকতা জয় করেছে, দেখিয়ে দিয়েছে সমাজকে।
তামান্নার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অনটনে সেটি এখন থেমে যাওয়ার উপক্রম। স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তামান্না।
তামান্না নূরা বলে, আমার ২টি হাত ও একটি পা নেই। কিন্তু তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার সুস্থ ব্রেন দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আমি সুস্থ আছি। এই জন্য আলহামদুলিল্লাহ।
অধ্যক্ষ সামছুর রহমান বলেন, শুধু পড়াশোনা না, তামান্না ভালো ছবিও আঁকে। এমনকি কম্পিউটার প্রযুক্তিতেও সে দক্ষ। জন্ম থেকেই তার দুটি হাত ও একটা পা নেই। অথচ একটা পা দিয়েই তামান্নার যুদ্ধ চলছে। আমি আশা রাখি সে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করবে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি দরকার সরকারের সহযোগিতা।