মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কান্দিল বালুচের খুনি ভাই কারামুক্তি পাচ্ছেন

২০১৬ সালে পাকিস্তানের তরুণী নেটমাধ্যম তারকা কান্দিল বালুচকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন তাঁরই ভাই। গ্রেপ্তারের পর বলেছিলেন তিনি, ‘অনুতপ্ত নই, যা করেছি ঠিক করেছি!’

পরিবারের সুনাম নষ্ট করার অভিযোগে ২৬ বছর বয়সী কান্দিল বালুচকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন তাঁরই বড় ভাই মুহাম্মদ ওয়াসিম। কান্দিলের ‘অপরাধ’ ছিল, নেটমাধ্যমে তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠ। এছাড়া সব বিষয়ে স্পষ্ট মত দিতেন তিনি।

আদালত ওয়াসিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে সোমবার ৬ বছর জেল খেটেই খালাস পেলেন তিনি।

ঘটনা আরো তোলপাড় ফেলেছিল, খুনি ওয়াসিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর। সেই সময় তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বোনকে খুন করেও অনুতপ্ত নন। তাঁর বক্তব্য ছিল, পরিবারের সুনাম যে নষ্ট করবে, তাঁকে এভাবেই শাস্তি পেতে হবে। প্রয়োজনে, আবার এ ধরনের কাজ করবেন।

ওয়াসিমের আইনজীবী জানিয়েছেন, মুলতানের একটি আদালত তাঁর মক্কেলকে বেকসুর খালাস করার রায় দিয়েছে। যদিও আদালতের রায় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

কান্দিলের খুনের ঘটনায় বিশ্বে সাড়া পড়েছিল। পারিবারিক সম্মানরক্ষার অজুহাতে এভাবে প্রাণবন্ত এক তরুণীকে খুন করতে পারা ভাইয়ের শাস্তির পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসা করানোর দাবি উঠেছিল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই নৃশংস দৃষ্টিভঙ্গির নিন্দাও হয়েছিল।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন ওয়াসিমের মা-বাবা। এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ জেল থেকে মুক্তিপাবেন ওয়াসিম। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কান্দিল বালুচের খুনি ভাই কারামুক্তি পাচ্ছেন

প্রকাশিত সময় : ০৩:১২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

২০১৬ সালে পাকিস্তানের তরুণী নেটমাধ্যম তারকা কান্দিল বালুচকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন তাঁরই ভাই। গ্রেপ্তারের পর বলেছিলেন তিনি, ‘অনুতপ্ত নই, যা করেছি ঠিক করেছি!’

পরিবারের সুনাম নষ্ট করার অভিযোগে ২৬ বছর বয়সী কান্দিল বালুচকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন তাঁরই বড় ভাই মুহাম্মদ ওয়াসিম। কান্দিলের ‘অপরাধ’ ছিল, নেটমাধ্যমে তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠ। এছাড়া সব বিষয়ে স্পষ্ট মত দিতেন তিনি।

আদালত ওয়াসিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে সোমবার ৬ বছর জেল খেটেই খালাস পেলেন তিনি।

ঘটনা আরো তোলপাড় ফেলেছিল, খুনি ওয়াসিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর। সেই সময় তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বোনকে খুন করেও অনুতপ্ত নন। তাঁর বক্তব্য ছিল, পরিবারের সুনাম যে নষ্ট করবে, তাঁকে এভাবেই শাস্তি পেতে হবে। প্রয়োজনে, আবার এ ধরনের কাজ করবেন।

ওয়াসিমের আইনজীবী জানিয়েছেন, মুলতানের একটি আদালত তাঁর মক্কেলকে বেকসুর খালাস করার রায় দিয়েছে। যদিও আদালতের রায় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

কান্দিলের খুনের ঘটনায় বিশ্বে সাড়া পড়েছিল। পারিবারিক সম্মানরক্ষার অজুহাতে এভাবে প্রাণবন্ত এক তরুণীকে খুন করতে পারা ভাইয়ের শাস্তির পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসা করানোর দাবি উঠেছিল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই নৃশংস দৃষ্টিভঙ্গির নিন্দাও হয়েছিল।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন ওয়াসিমের মা-বাবা। এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ জেল থেকে মুক্তিপাবেন ওয়াসিম। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ