বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেই প্রতিনিয়ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে মাদক। এক এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বাড়ালে মাদক প্রবেশে ভিন্ন পথ সৃষ্টি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরে বাহিনীটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য ও অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাদকের প্রবেশ রোধে সীমান্তে অত্যাধুনিক সেন্সর ব্যবস্থা চালু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো ড্রাগ প্রডিউসিং কান্ট্রি নয়। এর ভয়াল থাবা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষার জন্য আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করছি। প্রতিবেশী দেশ যারা এই মাদক তৈরি করে, তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। বর্ডারে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোস্টগার্ডকে আমরা শক্তিশালী করছি। অনেকগুলো উদ্দেশ্যের মধ্যে মাদকও একটি বড় উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ৪৭ হাজার কিলোমিটার আমাদের উপকূলীয় এলাকা। আমরা যখনই যে এলাকা শক্তিশালী করছি, অন্য এলাকা দিয়ে পাচারকারীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। যেখানেই আমরা বাধা দিই উল্টো আরেকটা পথ সৃষ্টি করে নিচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করতে আমরা ইতালি থেকে জাহাজ এনেছি। আরও জাহাজ আসবে। সেগুলো পরিচালনা করতে যে লোকবল বর্তমানে আছে তা দিয়ে হচ্ছে না। সেজন্য আমরা আইন সংশোধন করছি। বিজিবির যেমন নিজস্ব বাহিনী তৈরি হয়েছে সেই আদলে কোস্টগার্ডকে একটি বাহিনী হিসেবে তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বেসরকারি বিল এনেছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। সেটি পাশ হয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে পরিণত হয়েছে কোস্ট গার্ড। যখন যা প্রয়োজন ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, স্লোগান ‘গার্ডিয়ান অ্যাট সি’ সফল হতে যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৪:১৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেই প্রতিনিয়ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে মাদক। এক এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বাড়ালে মাদক প্রবেশে ভিন্ন পথ সৃষ্টি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরে বাহিনীটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য ও অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাদকের প্রবেশ রোধে সীমান্তে অত্যাধুনিক সেন্সর ব্যবস্থা চালু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো ড্রাগ প্রডিউসিং কান্ট্রি নয়। এর ভয়াল থাবা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষার জন্য আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করছি। প্রতিবেশী দেশ যারা এই মাদক তৈরি করে, তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। বর্ডারে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোস্টগার্ডকে আমরা শক্তিশালী করছি। অনেকগুলো উদ্দেশ্যের মধ্যে মাদকও একটি বড় উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ৪৭ হাজার কিলোমিটার আমাদের উপকূলীয় এলাকা। আমরা যখনই যে এলাকা শক্তিশালী করছি, অন্য এলাকা দিয়ে পাচারকারীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। যেখানেই আমরা বাধা দিই উল্টো আরেকটা পথ সৃষ্টি করে নিচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করতে আমরা ইতালি থেকে জাহাজ এনেছি। আরও জাহাজ আসবে। সেগুলো পরিচালনা করতে যে লোকবল বর্তমানে আছে তা দিয়ে হচ্ছে না। সেজন্য আমরা আইন সংশোধন করছি। বিজিবির যেমন নিজস্ব বাহিনী তৈরি হয়েছে সেই আদলে কোস্টগার্ডকে একটি বাহিনী হিসেবে তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বেসরকারি বিল এনেছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। সেটি পাশ হয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে পরিণত হয়েছে কোস্ট গার্ড। যখন যা প্রয়োজন ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, স্লোগান ‘গার্ডিয়ান অ্যাট সি’ সফল হতে যাচ্ছে।