বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলিক আইনগুলো বাংলায় প্রকাশে আইনি নোটিশ

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সংবিধানের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘বাংলা’কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আর এই অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব কাজ অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এই আইনি বিধান সত্ত্বেও দেশের আদালতের অধিকাংশ রায় ও আদেশ এবং অন্যান্য কার্যাবলী ইংরেজিতে প্রদান করা হয়।’

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আদালতে মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, চুক্তি আইন, তামাদি আইন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মত মৌলিক আইন সমূহের গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে এ সকল আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যাবশ্যক। তাই মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় নোটিশ দাতারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন।’

এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বস্তরে বিশেষত আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে উক্ত মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ অত্যাবশ্যক।

এমতাবস্থায় মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (অথেনটিক টেক্সট) প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মৌলিক আইনগুলো বাংলায় প্রকাশে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সংবিধানের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘বাংলা’কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আর এই অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব কাজ অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এই আইনি বিধান সত্ত্বেও দেশের আদালতের অধিকাংশ রায় ও আদেশ এবং অন্যান্য কার্যাবলী ইংরেজিতে প্রদান করা হয়।’

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আদালতে মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, চুক্তি আইন, তামাদি আইন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মত মৌলিক আইন সমূহের গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে এ সকল আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যাবশ্যক। তাই মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় নোটিশ দাতারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন।’

এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বস্তরে বিশেষত আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে উক্ত মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ অত্যাবশ্যক।

এমতাবস্থায় মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (অথেনটিক টেক্সট) প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়।