এর ফলে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরু হয়ে গেল। যা এতদিন অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছিল পশ্চিমী দুনিয়া, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই তা পুরোদস্তুর শুরু হয়ে গেল। ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র ছাড়ার কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ সেনারা ইতোমধ্যেই ডনবাস এলাকায় (ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকাকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) সামরিক অভিযান শুরু করে দিয়েছে।
কয়েক ঘণ্টা আগেই ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্স্কির মুখে। অবশ্যম্ভাবী আগ্রাসনের বিরোধিতায় রুশ জনতাকে রুখে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেন্স্কি বলেন, “ইউরোপে একটা বিরাট যুদ্ধ শুরু করতে চলেছে রাশিয়া। রুশ জনতার কাছে আবেদন, আপনারা এই নিষ্ঠুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।”
এরই মধ্যে ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জেলেন্স্কি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে। সেখানেও হামলা অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করা হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব ইতোমধ্যেই পুতিনকে অনুরোধ করেছেন সেনা আগ্রাসন বন্ধ করতে। যদিও ডনবাস এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে এখনও অনড় পুতিন।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 
























