শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিচার চাইলেন জবি ছাত্রী

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিচার চেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ওই ছাত্রী এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

জানা গেছে, যৌন হয়রানির ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর আবেদন জমা দিয়েছেন ওই ছাত্রী।

ছাত্রীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর ওই শিক্ষক ফোন করে তাকে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। সেখানে গেলে তাকে যৌন হয়রানি করেন। বিষয়টি বিভাগের চেয়ারম্যানকে জানানোর পর উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া বিচার করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়।

ঘটনার পর অভিযোগ করতে চাইলে সহপাঠীদের মাধ্যমে তাকে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো হয়। ওই ছাত্রী বলেন, ‘এতদিন আমি ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু এখন আমার মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি না। এই অপমান আর সহ্য করতে পারছি না। আমি এ অন্যায়ের সঠিক বিচার চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সে আমার কোর্সের কোনো ক্লাসে অংশ না নিয়ে শেষ ক্লাসে এসে পুরো কোর্স সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে তিরস্কার করি, যা সাধারণভাবে শিক্ষকরা করে থাকেন। এ বিষয়ে যে বাজে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, উদ্দেশ্যপ্রসূত ও আমলযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা তুলে আনবে, এটা আমিও চাই।’

বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওই ছাত্রী আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে ছয় মাস পর। তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও সে তা করেনি। সে অসহযোগিতা করছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি তদন্তের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই বিচার হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিচার চাইলেন জবি ছাত্রী

প্রকাশিত সময় : ১১:২১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিচার চেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ওই ছাত্রী এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

জানা গেছে, যৌন হয়রানির ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর আবেদন জমা দিয়েছেন ওই ছাত্রী।

ছাত্রীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর ওই শিক্ষক ফোন করে তাকে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। সেখানে গেলে তাকে যৌন হয়রানি করেন। বিষয়টি বিভাগের চেয়ারম্যানকে জানানোর পর উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া বিচার করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়।

ঘটনার পর অভিযোগ করতে চাইলে সহপাঠীদের মাধ্যমে তাকে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো হয়। ওই ছাত্রী বলেন, ‘এতদিন আমি ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু এখন আমার মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি না। এই অপমান আর সহ্য করতে পারছি না। আমি এ অন্যায়ের সঠিক বিচার চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সে আমার কোর্সের কোনো ক্লাসে অংশ না নিয়ে শেষ ক্লাসে এসে পুরো কোর্স সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে তিরস্কার করি, যা সাধারণভাবে শিক্ষকরা করে থাকেন। এ বিষয়ে যে বাজে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, উদ্দেশ্যপ্রসূত ও আমলযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা তুলে আনবে, এটা আমিও চাই।’

বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওই ছাত্রী আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে ছয় মাস পর। তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও সে তা করেনি। সে অসহযোগিতা করছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি তদন্তের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই বিচার হবে।