রাজধানীর বনানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নুরে আলম সিদ্দিক(১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। টঙ্গীতে ইন্টারন্যাশনাল ন্যাশনাল নার্সিং কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলো অনেক ভেবেছি মৃত্যুই হয়তো সহজ উপায়।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন রেলওয়ে পুলিশ।
সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে বিমানবন্দর ফাঁড়ির সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বনানী সিগনালের একটু সামনে পাশের রেললাইন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবুও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পরে খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
মৃতের দুলাভাই ফরহাদ হোসেন জানান, গতকাল বিকেলে সে টঙ্গীর রুমমেটদেরকে বলে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল। তাদের কে বলেছিল তার দুলাভাইয়ের বাসা শ্যামলীতে সেখানে তার আম্মা আসবে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল।
ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, তার আম্মা আমার শাশুড়ি গত শুক্রবারে কুমিল্লায় আমাদের গ্রামের বেড়াতে আসছিল। আর আমরাও শ্যামলীর বাসা থেকে কুমিল্লাতে ছিলাম।
তবে কেন নুর আলম রুমমেটদেরকে বলেছিল তার মা ঢাকায় আসবে, দেখা করতে বের হওয়ার বিষয়টা একটু রহস্যজনক আর কেনই বা ঢাকায় আসছিল আমরা তো কুমিল্লায় ছিলাম।
গতকাল সন্ধ্যায় নুর আলম তার বড় বোন জেসমিন নাহারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল, সন্ধায় সে ঘুরতে বের হয়েছে। আরো কিছু একটা বলতে চেয়েছিল বলেছিল রাতে বলবো। কিন্তু পরে আর তার ফোনে কোনো যোগাযোগ হয়নি। পরে পুলিশ থেকে খবর পাই সে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলো অনেক ভেবেছি মৃত্যুই হয়তো সহজ উপায়।
মৃত নুরে আলম সিদ্দিক নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা প্রধান পন্ডিত গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে। তার মায়ের নাম নুর নাহার বেগম। বর্তমানে টঙ্গী এলাকায় একটি ম্যাচে থাকতো। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























