বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারাগারে মানবতাবিরোধীদের সাজা কার্যকর করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনকারীদের সাজা কারাগারে কার্যকর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জনজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কারাগারে নিরাপদে আটক রাখা হয়। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত ১২তম ব্যাচ ডেপুটি জেলার এবং ৫৯তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কারাগার আসামিদের বিচার প্রক্রিয়াধীনের একটি গূরত্বপূর্ণ অংশ। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস এবং কারাগার একসঙ্গে মিশে আছে। কারাগারেই নির্মমভাবে শহীদ হয়েছে জাতীয় চার নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাগারের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু তার জীবন ও যৌবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে।

তিনি আরও বলেন, কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। কারাগারের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাড়ানো হয়েছে বন্দিদের সুযোগ-সুবিধা। বর্তমান সরকারের আমলেই ২০০ বছরের ইতিহাসের সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে চার দিন সবজি, রুটি, দুইদিন খিচুড়ি, একদিন হালুয়া, রুটি দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলাসহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট তুলে দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কারাগারে মানবতাবিরোধীদের সাজা কার্যকর করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৩:০২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনকারীদের সাজা কারাগারে কার্যকর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জনজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কারাগারে নিরাপদে আটক রাখা হয়। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত ১২তম ব্যাচ ডেপুটি জেলার এবং ৫৯তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কারাগার আসামিদের বিচার প্রক্রিয়াধীনের একটি গূরত্বপূর্ণ অংশ। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস এবং কারাগার একসঙ্গে মিশে আছে। কারাগারেই নির্মমভাবে শহীদ হয়েছে জাতীয় চার নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাগারের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু তার জীবন ও যৌবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে।

তিনি আরও বলেন, কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। কারাগারের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাড়ানো হয়েছে বন্দিদের সুযোগ-সুবিধা। বর্তমান সরকারের আমলেই ২০০ বছরের ইতিহাসের সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে চার দিন সবজি, রুটি, দুইদিন খিচুড়ি, একদিন হালুয়া, রুটি দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলাসহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট তুলে দেন।