শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরীমনির অনুপস্থিতিতে মাদক মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিসহ তিনজনের মাদক আইনের মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার পরীমনির অনুপস্থিতিতে মামলার বাদী র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান এ সাক্ষ্য প্রদান করেন।

তবে মামলার অপর দুই আসামি পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির খালু মো. কবীর হাওলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ২৯ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন

গত ধার্য তারিখেই পরীমনির অসুস্থতার জন্য তার পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। ফলে এদিন পরীমনির পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী হাজিরা প্রদান করেন।

আদালত বাদী মজিবর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি দিপুর পক্ষে আইনজীবী আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন। আর আসামি কবিরের পক্ষে আইনজীবী মাজেদুর রহমান মামুন জেরা করে পরীমনির পক্ষে জেরার জন্য সময় প্রার্থণা করেন। কিন্তু আদালত সে আবেদন নামঞ্জুর করে জেরা না করলে পরীমনির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করবেন জানালে আংশিক জেরা করে পরবর্তী দিন ঠিক করেন।

জেরায় আইনজীবীরা দাবি করেন, পরীমনির বাসা থেকে কোন প্রকার মাদক উদ্ধার হয়নি। আর আসামি দিপু ও কবীর ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছর ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

গত বছর ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পর বনানীর ১২ নম্ব রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। ওই সময় বাসা থেকে ১৯টি বোতলে ১৮ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়।

চার্জশিটে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তদন্তকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামীয় মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়ে বলা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পরীমনির অনুপস্থিতিতে মাদক মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিসহ তিনজনের মাদক আইনের মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার পরীমনির অনুপস্থিতিতে মামলার বাদী র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান এ সাক্ষ্য প্রদান করেন।

তবে মামলার অপর দুই আসামি পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির খালু মো. কবীর হাওলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম এ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ২৯ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন

গত ধার্য তারিখেই পরীমনির অসুস্থতার জন্য তার পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। ফলে এদিন পরীমনির পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী হাজিরা প্রদান করেন।

আদালত বাদী মজিবর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি দিপুর পক্ষে আইনজীবী আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন। আর আসামি কবিরের পক্ষে আইনজীবী মাজেদুর রহমান মামুন জেরা করে পরীমনির পক্ষে জেরার জন্য সময় প্রার্থণা করেন। কিন্তু আদালত সে আবেদন নামঞ্জুর করে জেরা না করলে পরীমনির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করবেন জানালে আংশিক জেরা করে পরবর্তী দিন ঠিক করেন।

জেরায় আইনজীবীরা দাবি করেন, পরীমনির বাসা থেকে কোন প্রকার মাদক উদ্ধার হয়নি। আর আসামি দিপু ও কবীর ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছর ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

গত বছর ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পর বনানীর ১২ নম্ব রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। ওই সময় বাসা থেকে ১৯টি বোতলে ১৮ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়।

চার্জশিটে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তদন্তকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামীয় মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়ে বলা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।