শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ ২৩ মার্চ। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলসমূহ ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালন করে আসছে। এ সংস্থা প্রতি বছর দিবসটি পালনের জন্য বাস্তব ও সময়োপযোগী একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করে থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ-দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আবহাওয়া, পানি ও জলবায়ুর তথ্য।’

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা দুর্যোগ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসের ওপর ভিত্তি করে দুর্যোগ আঘাত হানার পূর্বেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে আমাদের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরির্বতনের ব্যাপক প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, খরাসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ায় আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বর্তমানে বিশ্বে রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঠিক ও সময়োপযোগী আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ ২৩ মার্চ। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলসমূহ ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালন করে আসছে। এ সংস্থা প্রতি বছর দিবসটি পালনের জন্য বাস্তব ও সময়োপযোগী একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করে থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ-দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আবহাওয়া, পানি ও জলবায়ুর তথ্য।’

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা দুর্যোগ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসের ওপর ভিত্তি করে দুর্যোগ আঘাত হানার পূর্বেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে আমাদের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরির্বতনের ব্যাপক প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, খরাসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ায় আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বর্তমানে বিশ্বে রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঠিক ও সময়োপযোগী আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।