মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনে রেকর্ড সংক্রমণ, সাংহাইয়ে লকডাউন

চীনের বৃহত্তম শহর, ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত সাংহাইতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আর সে কারণে শহরটিতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন সরকার। 

সাংহাইয়ের পুডং, আর্থিক জেলা এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে সোমবার (২৮ মার্চ) থেকে শুক্রবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত লকডাউন পালন করা হবে। কারণ স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, শহরজুড়ে গণ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আর লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বে হুয়াংপু নদীর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ ডাউনটাউন এলাকা, যা শহরটিকে বিভক্ত করেছে, সেখানে পাঁচ দিনের লকডাউন শুরু হবে ১ এপ্রিল থেকে। বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে হবে এবং বাইরের বিশ্বের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ নেই- তা নিশ্চিত করার জন্য ডেলিভারি চেকপয়েন্টগুলো চালু থাকবে। অফিস এবং প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত নয়- এমন সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং গণপরিবহন স্থগিত থাকবে।

সাংহাইয়ের মধ্যেও অনেক জায়গায় ইতিমধ্যেই লকডাউন করা হয়েছে। তাদের বাসিন্দাদের কোভিড-১৯ এর জন্য একাধিক পরীক্ষা করাতে হবে। 

চীনে এখনও পর্যন্ত চলতি মাসে ৫৬ হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। যার বেশিরভাগই উত্তর-পূর্ব প্রদেশ জিলিনের একটি অংশে।

কিন্তু দুই বছর আগে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের সবচেয়ে বড় সংক্রামক এলাকা বেইজিং ‘গতিশীল শূন্য-কোভিড’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে চলেছে। কৌশলটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নির্মূল করার ওপর কড়া দৃষ্টি রেখেছে। কখনও কখনও পুরো শহরকেই লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। সূত্র- এপি, গার্ডিয়ান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

চীনে রেকর্ড সংক্রমণ, সাংহাইয়ে লকডাউন

প্রকাশিত সময় : ১২:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

চীনের বৃহত্তম শহর, ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত সাংহাইতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আর সে কারণে শহরটিতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন সরকার। 

সাংহাইয়ের পুডং, আর্থিক জেলা এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে সোমবার (২৮ মার্চ) থেকে শুক্রবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত লকডাউন পালন করা হবে। কারণ স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, শহরজুড়ে গণ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আর লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বে হুয়াংপু নদীর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ ডাউনটাউন এলাকা, যা শহরটিকে বিভক্ত করেছে, সেখানে পাঁচ দিনের লকডাউন শুরু হবে ১ এপ্রিল থেকে। বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে হবে এবং বাইরের বিশ্বের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ নেই- তা নিশ্চিত করার জন্য ডেলিভারি চেকপয়েন্টগুলো চালু থাকবে। অফিস এবং প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত নয়- এমন সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং গণপরিবহন স্থগিত থাকবে।

সাংহাইয়ের মধ্যেও অনেক জায়গায় ইতিমধ্যেই লকডাউন করা হয়েছে। তাদের বাসিন্দাদের কোভিড-১৯ এর জন্য একাধিক পরীক্ষা করাতে হবে। 

চীনে এখনও পর্যন্ত চলতি মাসে ৫৬ হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। যার বেশিরভাগই উত্তর-পূর্ব প্রদেশ জিলিনের একটি অংশে।

কিন্তু দুই বছর আগে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের সবচেয়ে বড় সংক্রামক এলাকা বেইজিং ‘গতিশীল শূন্য-কোভিড’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে চলেছে। কৌশলটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নির্মূল করার ওপর কড়া দৃষ্টি রেখেছে। কখনও কখনও পুরো শহরকেই লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। সূত্র- এপি, গার্ডিয়ান।