রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনে প্রথম ধাপের অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে রাশিয়া। এখন প্রধান লক্ষ্য অর্জনের দিকে মনোযোগ দেবেন তারা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্য হলো ডনবাসের লুহানেস্ক ও দোনেস্ককে স্বাধীন করা।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলনে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধান লক্ষ্যের প্রথম ধাপের অভিযান সফলভাবে শেষ হয়েছে। এর ফলে আমরা এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য ডনবাসকে স্বাধীন করার দিকে মনোযোগ দিতে পারব।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, রাশিয়ার হামলার কারণে ইউক্রেনের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ক্ষমতা অনেক হ্রাস পেয়েছে।
এদিকে তুরস্কের ইস্তানবুলে মঙ্গলবার আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। আর এ আলোচনা শেষে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকের আশেপাশের এলাকা ও চেরনিহিভে হামলা কমিয়ে দেবে রাশিয়া।
ইউক্রেনের বিশ্বাস অর্জন করতেই কিয়েভের ওপর বা আশেপাশে হামলা কমিয়ে দেবে তারা।
এ ব্যাপারে রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিরতি করতে ও এ নিয়ে আলোচনা করতে এবং ইউক্রেনের বিশ্বাস অর্জন করতে রাশিয়া কিয়েভের আশেপাশে ও চেরনিহিভে প্রাথমিকভাবে হামলা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে এর আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার কিছু কিছু ইউনিট কিয়েভের আশপাশের এলাকা ও উত্তর দিকের শহর চেরনিহিভের দিক থেকে সরে যাচ্ছে।
ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল স্টাফ দাবি করেছেন, রুশ সেনারা কিয়েভের আশেপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। ফলে তারা কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
জেনারেল স্টাফ আরও দাবি করেছেন, রুশ কমান্ডাররা চেয়েছিল এসব স্থানে নতুনদের নিয়ে আসতে কিন্তু সৈন্যরা আসতে অপরাগতা জানিয়েছেন। ফলে বাধ্য হয়ে এখান থেকে নিজেদের সেনা ইউনিট সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, বিবিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 























