শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডা পালাতে চেয়েছিলেন আশিষ রায়

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন যে ওয়ারেন্ট জারির পর তিনি আতঙ্কিত ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসা ছেড়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন। আর বৃস্পতিবার (৭ এপ্রিল) কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ওয়ারেন্ট জারির খবর পেয়ে কানাডা পালাতে চেয়েছিলেন চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। মঙ্গলবার রাতে গুলশানের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের সময় কানাডা যাওয়ার একটি এয়ার টিকিট উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে জানান, র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন যে ওয়ারেন্ট জারির পর তিনি আতঙ্কিত ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসা ছেড়ে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। তিনি কানাডার নাগরিক বলে দাবি করেছেন এবং কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

আশিষকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের উল্লেখ করে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আশিষ ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একটি এয়ারলাইনসের ডিরেক্টর (অপারেশন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি আরেকটি এয়ারলাইনসে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ২০১৩ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত।

চলচ্চিত্র নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আশিষ রায়ের। তিনি অসংখ্যবার বিদেশে গেছেন। তিনি কানাডায় ৪-৫ বছর ছিলেন। তাদের মধ্যে পলাতক বান্টি ইসলাম কানাডায়, আজিজ মোহাম্মদ থাইল্যান্ডে রয়েছেন। মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া আদনানের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ওই মামলার অপর আসামি ফারুক, লিটন, ইমন ও তারেক সাঈদ জেলে রয়েছেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন আশিষ রায়। গ্রেপ্তার এড়াতে ৭ এপ্রিল কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এ জন্য নিজের বাসা ছেড়ে গুলশানে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। বাসাটি একটি পাঁচ তারকা হোটেলের এমডি ভাড়া করে দিয়েছিলেন। সেখানে থেকে কানাডায় যেতে তিনি একটি এয়ারলাইনসের টিকিটও কাটেন। কিন্তু তার আগেই তিনি গ্রেপ্তার হন।

আশিষ রায়ের বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা হবে কি না ও পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, তার মাসে সাত লিটার মদ পানের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেছেন। যদিও তিনি সেটি দেখাতে পারেননি। আমরা অভিযানের সময় তার ভাড়া বাসা থেকে ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ২টি আইফোন ও নগদ দুই লাখ টাকা জব্দ করেছি। এ জন্য নতুন করে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা করা হবে। পাশাপাশি সোহেল হত্যা মামলায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হবে। ডেল্টা টাইমস্

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কানাডা পালাতে চেয়েছিলেন আশিষ রায়

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন যে ওয়ারেন্ট জারির পর তিনি আতঙ্কিত ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসা ছেড়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন। আর বৃস্পতিবার (৭ এপ্রিল) কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ওয়ারেন্ট জারির খবর পেয়ে কানাডা পালাতে চেয়েছিলেন চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। মঙ্গলবার রাতে গুলশানের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের সময় কানাডা যাওয়ার একটি এয়ার টিকিট উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে জানান, র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন যে ওয়ারেন্ট জারির পর তিনি আতঙ্কিত ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসা ছেড়ে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। তিনি কানাডার নাগরিক বলে দাবি করেছেন এবং কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

আশিষকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের উল্লেখ করে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আশিষ ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একটি এয়ারলাইনসের ডিরেক্টর (অপারেশন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি আরেকটি এয়ারলাইনসে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ২০১৩ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত।

চলচ্চিত্র নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আশিষ রায়ের। তিনি অসংখ্যবার বিদেশে গেছেন। তিনি কানাডায় ৪-৫ বছর ছিলেন। তাদের মধ্যে পলাতক বান্টি ইসলাম কানাডায়, আজিজ মোহাম্মদ থাইল্যান্ডে রয়েছেন। মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া আদনানের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ওই মামলার অপর আসামি ফারুক, লিটন, ইমন ও তারেক সাঈদ জেলে রয়েছেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন আশিষ রায়। গ্রেপ্তার এড়াতে ৭ এপ্রিল কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এ জন্য নিজের বাসা ছেড়ে গুলশানে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। বাসাটি একটি পাঁচ তারকা হোটেলের এমডি ভাড়া করে দিয়েছিলেন। সেখানে থেকে কানাডায় যেতে তিনি একটি এয়ারলাইনসের টিকিটও কাটেন। কিন্তু তার আগেই তিনি গ্রেপ্তার হন।

আশিষ রায়ের বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা হবে কি না ও পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, তার মাসে সাত লিটার মদ পানের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেছেন। যদিও তিনি সেটি দেখাতে পারেননি। আমরা অভিযানের সময় তার ভাড়া বাসা থেকে ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ২টি আইফোন ও নগদ দুই লাখ টাকা জব্দ করেছি। এ জন্য নতুন করে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা করা হবে। পাশাপাশি সোহেল হত্যা মামলায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হবে। ডেল্টা টাইমস্