বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরো বেসামরিক মানুষের দেহ উদ্ধার ইউক্রেনে

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অদূরে হস্টমেল থেকে আবারও একাধিক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার প্রশাসনের দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি গ্যারাজ থেকে ১১ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুচায় যেমন হাত বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল, এখানেও দেহগুলি সেভাবেই ফেলে রাখা ছিল বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, রাশিয়ার সেনাই এ কাজ করেছে। এছাড়াও বুচায় বেশ কিছু হস্টমেলের বেসামরিক মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ। আশপাশের অঞ্চলে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবারই ওই অঞ্চলের প্রাশাসনিক কর্তা জানিয়েছিলেন, প্রায় ৪০০ মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

দিনকয়েক আগেই কিয়েভ এবং সংলগ্ন শহরতলী থেকে রাশিয়ার সেনা ফিরে গেছে। তারপরেই একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে।

বুচা, হস্টমেলের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল মৃতদেহ। বুচায় উদ্ধার হয়েছে গণকবর। এরপর হস্টমেলের গ্যারাজ থেকেও ১১ জনের দেহ উদ্ধার হলো।

যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা কেউ সেনা নয়, লড়াইয়েও অংশগ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে যে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

টেলিগ্রামের নিজস্ব চ্যানেলে প্রাত্যহিক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার সেনা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা যে অঞ্চলগুলি এখনো দখল করে রেখেছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহগুলি।’

জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ, বুচার ঘটনার পর গোটা বিশ্ব যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, রাশিয়া তা নিয়ে চিন্তিত।

তারা জানে, আরো বহু শহরে একইধরনের যুদ্ধাপরাধ তারা করেছে। ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ফলে দ্রুত দেহ লোপাট করার চেষ্টা হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, গোটা ইউক্রেন জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আরো বেসামরিক মানুষের দেহ উদ্ধার ইউক্রেনে

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অদূরে হস্টমেল থেকে আবারও একাধিক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার প্রশাসনের দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি গ্যারাজ থেকে ১১ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুচায় যেমন হাত বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল, এখানেও দেহগুলি সেভাবেই ফেলে রাখা ছিল বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, রাশিয়ার সেনাই এ কাজ করেছে। এছাড়াও বুচায় বেশ কিছু হস্টমেলের বেসামরিক মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ। আশপাশের অঞ্চলে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবারই ওই অঞ্চলের প্রাশাসনিক কর্তা জানিয়েছিলেন, প্রায় ৪০০ মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

দিনকয়েক আগেই কিয়েভ এবং সংলগ্ন শহরতলী থেকে রাশিয়ার সেনা ফিরে গেছে। তারপরেই একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে।

বুচা, হস্টমেলের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল মৃতদেহ। বুচায় উদ্ধার হয়েছে গণকবর। এরপর হস্টমেলের গ্যারাজ থেকেও ১১ জনের দেহ উদ্ধার হলো।

যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা কেউ সেনা নয়, লড়াইয়েও অংশগ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে যে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

টেলিগ্রামের নিজস্ব চ্যানেলে প্রাত্যহিক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার সেনা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা যে অঞ্চলগুলি এখনো দখল করে রেখেছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহগুলি।’

জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ, বুচার ঘটনার পর গোটা বিশ্ব যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, রাশিয়া তা নিয়ে চিন্তিত।

তারা জানে, আরো বহু শহরে একইধরনের যুদ্ধাপরাধ তারা করেছে। ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ফলে দ্রুত দেহ লোপাট করার চেষ্টা হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, গোটা ইউক্রেন জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে