বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙনের সুর শাহবাজ জোটে

ইমরান খানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে টেনে নামানোর ক্ষেত্রে শুরু থেকে কলকাঠি নেড়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক মাওলানা ফজলুর রেহমান। সেই আন্দোলনে সফলও হয়েছেন তিনি। ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী কয়েকটি দলকে জোটবদ্ধ করে ক্ষমতাচ্যুত করেন ইমরানকে। পরে প্রধানমন্ত্রী হন মুসলিম লীগ নেতা শাহবাজ শরিফ। কিন্তু এরপর থেকে ক্ষমতাসীন জোটে ক্রমেই বাড়ছে মতবিরোধ। শুরুতে সমস্যা ছিল মন্ত্রিত্ব নিয়ে, এখন নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়েও বেঁধেছে বিরোধ।

ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলে আসছেন তিনি। এখন ক্ষমতাসীন জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমানও একই দাবি জানিয়েছেন।

এ সপ্তাহে ইসলামাবাদে নিজের দল জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলুরের (জেইউআই-এফ) নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ফজলুর রেহমান বলেন, নতুন এই সরকার কোনোভাবেই এক বছরের বেশি চলা উচিত নয়। নতুন এই সেটআপে জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের নিজস্ব পরিচয় রয়েছে এবং তাদের জোট অংশীদারদের বলছি, আমরা এখনো অবিলম্বে নির্বাচন চাই।

ইমরান খানকে ইঙ্গিত করে ফজলুর রেহমান বলেন, যদিও তিনি চলে গেছেন, তবুও আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কাছে সেই আমানত ফিরিয়ে দেওয়া, যার জন্য আমরা এতদিন সংগ্রাম করেছি। নির্বাচনে সম্ভাব্য কারচুপি ও ভোটগ্রহণ ব্যবস্থা নিয়ে জোট শরিকদের মধ্যে আশঙ্কা দূর করতে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন জেইউআই-এফ প্রধান। তিনি বলেন, সুযোগের একটা সীমা থাকে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম অকারণে ক্ষমতা আকড়ে থাকবে না।

পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট। সরকার সেই পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে পরের ৬০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে সেই দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বিধান রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভাঙনের সুর শাহবাজ জোটে

প্রকাশিত সময় : ১১:২২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ইমরান খানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে টেনে নামানোর ক্ষেত্রে শুরু থেকে কলকাঠি নেড়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক মাওলানা ফজলুর রেহমান। সেই আন্দোলনে সফলও হয়েছেন তিনি। ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী কয়েকটি দলকে জোটবদ্ধ করে ক্ষমতাচ্যুত করেন ইমরানকে। পরে প্রধানমন্ত্রী হন মুসলিম লীগ নেতা শাহবাজ শরিফ। কিন্তু এরপর থেকে ক্ষমতাসীন জোটে ক্রমেই বাড়ছে মতবিরোধ। শুরুতে সমস্যা ছিল মন্ত্রিত্ব নিয়ে, এখন নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়েও বেঁধেছে বিরোধ।

ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলে আসছেন তিনি। এখন ক্ষমতাসীন জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমানও একই দাবি জানিয়েছেন।

এ সপ্তাহে ইসলামাবাদে নিজের দল জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলুরের (জেইউআই-এফ) নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ফজলুর রেহমান বলেন, নতুন এই সরকার কোনোভাবেই এক বছরের বেশি চলা উচিত নয়। নতুন এই সেটআপে জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের নিজস্ব পরিচয় রয়েছে এবং তাদের জোট অংশীদারদের বলছি, আমরা এখনো অবিলম্বে নির্বাচন চাই।

ইমরান খানকে ইঙ্গিত করে ফজলুর রেহমান বলেন, যদিও তিনি চলে গেছেন, তবুও আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কাছে সেই আমানত ফিরিয়ে দেওয়া, যার জন্য আমরা এতদিন সংগ্রাম করেছি। নির্বাচনে সম্ভাব্য কারচুপি ও ভোটগ্রহণ ব্যবস্থা নিয়ে জোট শরিকদের মধ্যে আশঙ্কা দূর করতে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন জেইউআই-এফ প্রধান। তিনি বলেন, সুযোগের একটা সীমা থাকে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম অকারণে ক্ষমতা আকড়ে থাকবে না।

পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট। সরকার সেই পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে পরের ৬০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে সেই দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বিধান রয়েছে।