নিজেই নিজেকে যদি তুমি করে রাখো বন্দী,
ভালোবাসো যদি সমাজের বাসি পচা ফন্দি;
হবে কি করে তোমার মুক্তি, আসবে কি করে স্বাধীনতা,
আসবে না মুক্তি তোমার এই সুন্দর ধরায়,
চলো যদি সমাজের সনাতনী ধারায়,
ঘুচাবে না কোনোদিন ই এই পরাধীনতা।।
জেগে ওঠো তুমি হে নারী সমাজ,
ভেঙে ফেলো সমাজের পাটাতন আজ;
বীর দর্পে তুমি যাও এগিয়ে –
দেখা হবে হে কল্যাণী; দেখা হবে বিজয়ে।।
কি লাভ হবে এই সিস্টেমে থেকে ,
প্রতিদিন ই কাঁদি যদি সংবাদ দেখে –
তোমার ধর্ষণের খবর ছেপে করে চলে ওরা সাংবাদিকতা;
প্রতিটা শিরোনাম তোমার নামে –
তোমাকেই বলে ওরা ধর্ষিতা।।
প্রতিটি শহরে রাস্তার গলিতে,কর্মক্ষেত্রে বা পথ চলিতে;
আর কতো ধর্ষণ আর কতো অপহরণ,
আর কতো শিরোনামে থাকবে নামটা তোমার।
জেগে ওঠো তুমি হে নারী সমাজ,
করো প্রতিবাদ তুমি,
হয়ে উঠো সোচ্চার।।
নিশ্চিতভাবে নাই তোমার নিরাপত্তা,
তোমার জন্য- কিঞ্চিৎ নয় নিরাপদ এই শহরের রাস্তা,
যেখানেই থাকো তুমি ঘরে কিংবা বাহির,
তোমার উপর কর্তৃত্ব করে চলে এই সমাজের মহাজন,
করে চলে নিজের হুকুম জাহির।।
এইভাবে দিনে দিনে শেষ হয় রোকেয়ার স্বপ্ন,
ফিরে আসে বার বার অবরোধবাসিনী
তোমার এই নিশ্চুপ, নীরব, অধীনতা,
ডেকে আনে সমাজের পতন এ যে কঠিন বাস্তবতা-
বুঝতে কি পারো তুমি নাকি বুঝো না হে কল্যাণী।।
এসেছে সময় তুমি ওঠো এবার জেগে –
ঘুমিয়ে থাকার সময় গেছে ফুরিয়ে,
ফেলে দাও দূরে ওই জীর্ণ সমাজের শীর্ণতা,
সমাজের মাথাটা তুমি দাও না একটু ঘুরিয়ে,
বের হয়ে আসো তুমি পায়ে ঠেলে ওই ধর্মান্ধতা।।
লেখক-বিপ্লব চন্দ্র রায়,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়