শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী বাজেটে ভর্তুকির ওপর কোনো চাপ নেই: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী বাজেটে ভর্তুকির ওপর কোনো চাপ নেই। এমনকি বাজেটে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি যা ধরা হয়েছে, আমি মনে করি সেটি সহনীয় অবস্থানে থাকবে। যুদ্ধ প্রলম্বিত না হলে বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছি।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরের জন্য বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত বাজেটে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কাটছাঁট করা হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বহাল থাকবে এবং আমি মনে করি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যদি দীর্ঘস্থায়ী না হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে প্রাক্কলিত জিডিপি অর্জন সম্ভব হবে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, দাম কেন বাড়ছে তার ব্যাখ্যা আমি আগে দিয়েছি। আমরা সারা বিশ্বের সাথে একীভূত। অনেক দেশের সাথে লেনদেন করতে হয়। যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব এখন অস্থির। কাজেই জিনিসপত্রের দাম একটু তো বাড়বেই। তারপরও মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে কী করা যায় ভেবে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, যুদ্ধ থেমে যাবে এবং বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আগামী বাজেটে ভর্তুকির ওপর কোনো চাপ নেই: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৩:০৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী বাজেটে ভর্তুকির ওপর কোনো চাপ নেই। এমনকি বাজেটে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি যা ধরা হয়েছে, আমি মনে করি সেটি সহনীয় অবস্থানে থাকবে। যুদ্ধ প্রলম্বিত না হলে বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছি।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরের জন্য বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত বাজেটে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কাটছাঁট করা হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বহাল থাকবে এবং আমি মনে করি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যদি দীর্ঘস্থায়ী না হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে প্রাক্কলিত জিডিপি অর্জন সম্ভব হবে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, দাম কেন বাড়ছে তার ব্যাখ্যা আমি আগে দিয়েছি। আমরা সারা বিশ্বের সাথে একীভূত। অনেক দেশের সাথে লেনদেন করতে হয়। যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব এখন অস্থির। কাজেই জিনিসপত্রের দাম একটু তো বাড়বেই। তারপরও মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে কী করা যায় ভেবে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, যুদ্ধ থেমে যাবে এবং বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে।’