বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ বছর বয়সে স্নাতক

মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ছেলেটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছে। এমনকি শিশুটি এখন পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার পরিকল্পনাও করছে। তার নাম এলিয়ট ট্যানার। তার বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সেইন্ট লুইসপার্ক শহরে। আগামী মে মাসে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক ডিগ্রি পাচ্ছে এলিয়ট। তার বিষয়ও বেশ খটমটে- পদার্থ ও গণিত।

শৈশব থেকে পড়াশোনার প্রতি ভীষণ আগ্রহ এলিয়টের। ছোট্টবেলায় এলিয়টের বয়সী বেশিরভাগ শিশু যখন জুতার ফিতা বাঁধা শিখছিল, তখনই সে পুরো বই পড়তে পারত। মাত্র দুই বছর বয়সে সে পড়তে শুরু করে। আমরা তাকে তখন পড়তে বসতে বিলিনি। নিজের আগ্রহেই এলিয়ট পড়াশোনা শুরু করে বলে জানান মা মিশেল ট্যানার।

মিশেল ট্যানার জানান, ৯ বছর বয়সে এলিয়ট কলেজ পর্যায়ের বই পড়তে শুরু করে। দুই বছরের মধ্যে সে কলেজ পর্যায় উতরে যায়। নরমানডেল কমিউনিটি কলেজে এলিয়টের পড়ার বিষয় ছিল বিজ্ঞান। এলিয়েট বলেন, আমার জীবনে এটা ভীষণ ভালো একটি অভিজ্ঞতা। এখন স্নাতক শেষ হয়েছে। তবে এখানেই পড়ার পাট চুকে যাবে না। পরবর্তীতে আমি পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে চাই।

পিএইচডির পর কী করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এলিয়ট বলেন, আমি শিক্ষক হতে চাই। একসময় ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটায় পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই। পদার্থবিজ্ঞান আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

১৩ বছর বয়সে স্নাতক

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ছেলেটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছে। এমনকি শিশুটি এখন পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার পরিকল্পনাও করছে। তার নাম এলিয়ট ট্যানার। তার বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সেইন্ট লুইসপার্ক শহরে। আগামী মে মাসে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক ডিগ্রি পাচ্ছে এলিয়ট। তার বিষয়ও বেশ খটমটে- পদার্থ ও গণিত।

শৈশব থেকে পড়াশোনার প্রতি ভীষণ আগ্রহ এলিয়টের। ছোট্টবেলায় এলিয়টের বয়সী বেশিরভাগ শিশু যখন জুতার ফিতা বাঁধা শিখছিল, তখনই সে পুরো বই পড়তে পারত। মাত্র দুই বছর বয়সে সে পড়তে শুরু করে। আমরা তাকে তখন পড়তে বসতে বিলিনি। নিজের আগ্রহেই এলিয়ট পড়াশোনা শুরু করে বলে জানান মা মিশেল ট্যানার।

মিশেল ট্যানার জানান, ৯ বছর বয়সে এলিয়ট কলেজ পর্যায়ের বই পড়তে শুরু করে। দুই বছরের মধ্যে সে কলেজ পর্যায় উতরে যায়। নরমানডেল কমিউনিটি কলেজে এলিয়টের পড়ার বিষয় ছিল বিজ্ঞান। এলিয়েট বলেন, আমার জীবনে এটা ভীষণ ভালো একটি অভিজ্ঞতা। এখন স্নাতক শেষ হয়েছে। তবে এখানেই পড়ার পাট চুকে যাবে না। পরবর্তীতে আমি পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে চাই।

পিএইচডির পর কী করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এলিয়ট বলেন, আমি শিক্ষক হতে চাই। একসময় ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটায় পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই। পদার্থবিজ্ঞান আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয়।