বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা এখন ফাঁকা

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টে গেছে শহরের চিরচেনা চিত্র। নেই কোনো যানজট, ট্র‌্যাফিক সিগন্যাল। মোড়ে মোড়ে গাড়ির ঝট নেই। রাজধানী ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। ফলে যারা এখনো রাজধানীতে আছেন, তারা স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন।

তবে শেষ মুহূর্তেও অনেকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন। যদিও গত দুদিনের তুলনায় এটি খুব কম। কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন, গাবতলী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালমুখী রাস্তায় তুলনামূলক যানবাহন রয়েছে। তবে তা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ অন্যান্য রোডে গাড়ির চাপ নেই।

রোববার (১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বড় কোনো সিগন্যাল নেই। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাও এখন অনেকটাই ফাঁকা। কোথাও কোনো ট্র‌্যাফিক সিগন্যাল নেই। রাস্তায় সবচেয়ে কম যাত্রীবাহী বাস। স্বজনদের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে সিংহভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।

শাহবাগ, ফার্মগেট, মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, কাওরান বাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ট্র‌্যাফিক সিগন্যালের প্রয়োজন হচ্ছে না। রাস্তার যে পাশে যখন গাড়ি বেশি, তখন তারা নিজেরাই একপাশ থেকে অন্য পাশে যাচ্ছেন। গাড়ির সংখ্যা এতটায় কম যে ট্র‌্যাফিক পুলিশ সদস্যরা বক্সে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

কোথাও কোথাও রিকশার দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। তবে গাবতলী, সদরঘাট এবং মহাখালীর দিকে গাড়ির হালকা চাপ রয়েছে।

মূলত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল থেকেই মানুষের ও গাড়ির চাপ কমতে থাকে। ওইদিন ঈদের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানে শেষ কর্মদিবস ছিল। ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল ছিল শুক্রবার। পরদিন শনিবার ৩০ এপ্রিল। ১ মে রোববার শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি। একই সঙ্গে এদিন ঈদের ছুটিও শুরু হচ্ছে। এরপর সোম ও মঙ্গলবার ঈদের ছুটি। তবে রোজা যদি ৩০টি হয়, সেক্ষেত্রে বুধবারও (৪ মে) ঈদের সরকারি ছুটি থাকবে। ফলে টানা ছয় দিন ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা।

ট্র‌্যাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মূলত বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস হওয়াতে শুক্রবার শহরে একেবারেই যানজট ছিল না। যতটুকু ছিল সেটা মার্কেট এলাকা ভিত্তিক। কেননা মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করছেন ওই এলাকায় একটু ট্র‌্যাফিক থাকবেই। আর কিছুটা ট্র‌্যাফিক আছে টার্মিনালকেন্দ্রীক। সব মানুষের যাত্রা টার্মিনালমুখী হওয়াতে সেখানেও চাপ বেড়েছে। অন্য কোনো সড়কে একেবারেই যানজট নেই।রাইজিংবিডি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা এখন ফাঁকা

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টে গেছে শহরের চিরচেনা চিত্র। নেই কোনো যানজট, ট্র‌্যাফিক সিগন্যাল। মোড়ে মোড়ে গাড়ির ঝট নেই। রাজধানী ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। ফলে যারা এখনো রাজধানীতে আছেন, তারা স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন।

তবে শেষ মুহূর্তেও অনেকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন। যদিও গত দুদিনের তুলনায় এটি খুব কম। কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন, গাবতলী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালমুখী রাস্তায় তুলনামূলক যানবাহন রয়েছে। তবে তা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ অন্যান্য রোডে গাড়ির চাপ নেই।

রোববার (১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বড় কোনো সিগন্যাল নেই। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাও এখন অনেকটাই ফাঁকা। কোথাও কোনো ট্র‌্যাফিক সিগন্যাল নেই। রাস্তায় সবচেয়ে কম যাত্রীবাহী বাস। স্বজনদের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে সিংহভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।

শাহবাগ, ফার্মগেট, মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, কাওরান বাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ট্র‌্যাফিক সিগন্যালের প্রয়োজন হচ্ছে না। রাস্তার যে পাশে যখন গাড়ি বেশি, তখন তারা নিজেরাই একপাশ থেকে অন্য পাশে যাচ্ছেন। গাড়ির সংখ্যা এতটায় কম যে ট্র‌্যাফিক পুলিশ সদস্যরা বক্সে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

কোথাও কোথাও রিকশার দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। তবে গাবতলী, সদরঘাট এবং মহাখালীর দিকে গাড়ির হালকা চাপ রয়েছে।

মূলত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল থেকেই মানুষের ও গাড়ির চাপ কমতে থাকে। ওইদিন ঈদের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানে শেষ কর্মদিবস ছিল। ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল ছিল শুক্রবার। পরদিন শনিবার ৩০ এপ্রিল। ১ মে রোববার শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি। একই সঙ্গে এদিন ঈদের ছুটিও শুরু হচ্ছে। এরপর সোম ও মঙ্গলবার ঈদের ছুটি। তবে রোজা যদি ৩০টি হয়, সেক্ষেত্রে বুধবারও (৪ মে) ঈদের সরকারি ছুটি থাকবে। ফলে টানা ছয় দিন ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা।

ট্র‌্যাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মূলত বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস হওয়াতে শুক্রবার শহরে একেবারেই যানজট ছিল না। যতটুকু ছিল সেটা মার্কেট এলাকা ভিত্তিক। কেননা মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করছেন ওই এলাকায় একটু ট্র‌্যাফিক থাকবেই। আর কিছুটা ট্র‌্যাফিক আছে টার্মিনালকেন্দ্রীক। সব মানুষের যাত্রা টার্মিনালমুখী হওয়াতে সেখানেও চাপ বেড়েছে। অন্য কোনো সড়কে একেবারেই যানজট নেই।রাইজিংবিডি