বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণা ৯ মে!

ইউক্রেনে যুদ্ধ নয়, চলছে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’। বারবার এ দাবিই করে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এমন যুদ্ধংদেহী মনোভাবের জন্য যারপরনাই উদ্বিগ্ন ইউরোপ। তারা আশঙ্কা করছে, যে কোনো মুহূর্তে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন। ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য ৯ মে দিনটিকে বেছে নিতে পারেন পুতিন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এরই মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের ৭০ দিন পার হয়েছে। তাই আগামী ৯ মে পুতিন যদি যুদ্ধ ঘোষণা করেন, তাহলে পূর্ণ শক্তি নিয়েই দেশটি দখলে নিতে পারেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

কিন্তু কেন ৯ মে? এ বিষয়ে যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দিন রাশিয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনকে দেশটি ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। তাই পুরো বিশ্বের সামনে নিজেদের শক্তি দেখাতে এ দিনকেই বেছে নিয়েছে তারা।

১৯৪৫ সালের ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করে সোভিয়েত বাহিনী। এ কারণেই এই দিনকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে মস্কো।

৯ মে যুদ্ধ ঘোষণার পেছনে আরও কারণ রয়েছে। এ বিষয়ে রাশিয়া-ইউরেশিয়া বিভাগের কর্মকর্তা জেমস নিক্সি জানান, দেশের মানুষের কাছে পুতিনের ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্য আর দিনটিকে বেছে নেয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ যুদ্ধ ঘোষণা করলেও সমস্যা হতে পারে সেটি খুব ভালোভাবেই জানেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির একাংশ চাইছেন ইউক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হোক। কিন্তু বড় একটি অংশ তার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ফলে দেশের অভ্যন্তরে যেন নতুন সমস্যা থেকে বাঁচতে তিনি সাবধানে পা বাড়াবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণা ৯ মে!

প্রকাশিত সময় : ০৯:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২

ইউক্রেনে যুদ্ধ নয়, চলছে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’। বারবার এ দাবিই করে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এমন যুদ্ধংদেহী মনোভাবের জন্য যারপরনাই উদ্বিগ্ন ইউরোপ। তারা আশঙ্কা করছে, যে কোনো মুহূর্তে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন। ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য ৯ মে দিনটিকে বেছে নিতে পারেন পুতিন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এরই মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের ৭০ দিন পার হয়েছে। তাই আগামী ৯ মে পুতিন যদি যুদ্ধ ঘোষণা করেন, তাহলে পূর্ণ শক্তি নিয়েই দেশটি দখলে নিতে পারেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

কিন্তু কেন ৯ মে? এ বিষয়ে যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দিন রাশিয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনকে দেশটি ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। তাই পুরো বিশ্বের সামনে নিজেদের শক্তি দেখাতে এ দিনকেই বেছে নিয়েছে তারা।

১৯৪৫ সালের ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করে সোভিয়েত বাহিনী। এ কারণেই এই দিনকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে মস্কো।

৯ মে যুদ্ধ ঘোষণার পেছনে আরও কারণ রয়েছে। এ বিষয়ে রাশিয়া-ইউরেশিয়া বিভাগের কর্মকর্তা জেমস নিক্সি জানান, দেশের মানুষের কাছে পুতিনের ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্য আর দিনটিকে বেছে নেয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ যুদ্ধ ঘোষণা করলেও সমস্যা হতে পারে সেটি খুব ভালোভাবেই জানেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির একাংশ চাইছেন ইউক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হোক। কিন্তু বড় একটি অংশ তার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ফলে দেশের অভ্যন্তরে যেন নতুন সমস্যা থেকে বাঁচতে তিনি সাবধানে পা বাড়াবেন।