শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছুটির সকালে স্বস্তির বৃষ্টি

বজ্রপাত ও বৃষ্টির শব্দে পবিত্র ইদুল ফিতরের পরের দিন বুধবার (৪ মে) ছুটির সকালে ঘুম ভেঙেছে নগরবাসীর। এদিন ভোর সাড়ে ৫টার পর রাজধানী ঢাকার আকাশে হচ্ছিল একের পর এক মেঘের গর্জন। মুহুর্মুহু বজ্রপাতে অনেকেই ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। মূলত এরপরই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। অবশ্য সকাল ৮টার মধ্যে বৃষ্টির তীব্রতা থেমেও যায়।

ইদের দিন রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশেই কালবৈশাখী ঝড়সহ ছিল তীব্র বৃষ্টি। মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টার কিছু পর এ নগরে কালো মেঘে যেন সন্ধ্যা নামে। মূলত এরপরই শুরু হয় কালবৈশাখী, বজ্রপাত সঙ্গে তুমুল ঝড়বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর ঝর থেমে গেলেও সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি থাকে। ইদের দিন ঢাকায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। যদিও ইদের দিন রংপুর বিভাগে কোনো বৃষ্টি ছিল না।

এরপর মোটামুটি সারাদিনের আবহাওয়া ঢাকায় বেশ ভালোই ছিল। ইদের আনন্দ উদযাপনে কোনো ধরনের বাদ সাধেনি প্রকৃতি।

আবহাওয়াবিদ মো. লতিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেশকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ সময়ে দেশব্যাপী দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ। এমনকি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে অধিদফতর।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে পরদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে- ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, বরিশাল, কুমিল্লা, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের উপর পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ছুটির সকালে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২

বজ্রপাত ও বৃষ্টির শব্দে পবিত্র ইদুল ফিতরের পরের দিন বুধবার (৪ মে) ছুটির সকালে ঘুম ভেঙেছে নগরবাসীর। এদিন ভোর সাড়ে ৫টার পর রাজধানী ঢাকার আকাশে হচ্ছিল একের পর এক মেঘের গর্জন। মুহুর্মুহু বজ্রপাতে অনেকেই ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। মূলত এরপরই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। অবশ্য সকাল ৮টার মধ্যে বৃষ্টির তীব্রতা থেমেও যায়।

ইদের দিন রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশেই কালবৈশাখী ঝড়সহ ছিল তীব্র বৃষ্টি। মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টার কিছু পর এ নগরে কালো মেঘে যেন সন্ধ্যা নামে। মূলত এরপরই শুরু হয় কালবৈশাখী, বজ্রপাত সঙ্গে তুমুল ঝড়বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর ঝর থেমে গেলেও সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি থাকে। ইদের দিন ঢাকায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। যদিও ইদের দিন রংপুর বিভাগে কোনো বৃষ্টি ছিল না।

এরপর মোটামুটি সারাদিনের আবহাওয়া ঢাকায় বেশ ভালোই ছিল। ইদের আনন্দ উদযাপনে কোনো ধরনের বাদ সাধেনি প্রকৃতি।

আবহাওয়াবিদ মো. লতিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেশকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ সময়ে দেশব্যাপী দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ। এমনকি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে অধিদফতর।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে পরদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে- ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, বরিশাল, কুমিল্লা, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের উপর পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে।