মানসিক চাপের ফলে নারীদের ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ কমে যেতে পারে এবং এর ফলে প্রজনন উর্বরতা কমে যায় বলে এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
নারী ইঁদুরকে উচ্চ শব্দযুক্ত জায়গায় রেখে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণাটি এন্ডোক্রিনোলজি, এন্ডোক্রাইন সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ হল ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং মানের ওপর ভিত্তি করে নারীর প্রজনন ক্ষমতা নির্ধারণ করে। একজন নারী সীমিত সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর নারীর দেহে আর ডিম্বাণু উৎপন্ন হয় না। ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ কমে গেলে অবশিষ্ট ডিম্বাণুর স্বল্পতা এবং গুণগত মান ভালো না হলে স্বাভাবিক প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
চীনের শিয়ানে অবস্থিত শিআন জিয়াও টং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক ওয়েনিয়ান শি বলেন, ডিম্বাশয়ের রিজার্ভের উপর মানসিক চাপের প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য ইঁদুরের উপর শব্দের ব্যবহার করেছি।
‘আমরা গবেষণায় দেখেছি যে, নারী ইঁদুরকে শব্দযুক্ত স্থানে রাখার কারণে এটির ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ কমে যায়। এর ফলে প্রজনন উর্বরতাও কমে আসে।
গবেষকেরা নারী ইঁদুরকে শব্দযুক্ত পরিবেশে ৩ সপ্তাহের জন্য রাখেন। এরপর এগুলোর সেক্স হরমোন, ডিম্বাণুর সংখ্যা ও মানের ওপর কী প্রভাব পড়ে এবং গর্ভধারণের সক্ষমতা বিশ্লেষণ করেন।
গবেষণায় দেখা যায়, শব্দের প্রভাবের কারণে ইঁদুরের এস্ট্রোজেন এবং অ্যান্টি মুলেরিয়ান হরমোনের মাত্রা কমে যায়। একই সঙ্গে নারীর ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং মান কমিয়ে দেয়।