রোববার (১৫ মে) সকালে ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রেমিকের সঙ্গে তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকতেন সেখান থেকেই তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকাহত তার সহকর্মীরা। ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর ঘটনায় মাদকযোগের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই তারকার মৃত্যুর রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। তবে তাকে ঘিরে প্রতিনিয়ত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
কলকাতার অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর পর তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করে পুলিশ। তারা নিজেদের বিবাহিত পরিচয় দিয়ে গড়ফার গাঙ্গুলি বাগানের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। অভিনেত্রী শুটিংয়ে গেলে ওই ফ্ল্যাটে অন্য মেয়েকে আনতেন তার প্রেমিক। এমনকি কয়েক মাস আগে গোপনে বিয়েও করেছেন সাগ্নিক-এমনটাই দাবি করেছেন পল্লবীর বাবা।
মঙ্গলবার (১৭ মে) মৃত্যৃর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হলেন সাগ্নিক চক্রবর্তী। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পল্লবীকে মারধরের অভিযোগ এনে তার বাবার দাবি, সাগ্নিক আমার মেয়েকে মারধর করত। পল্লবীর অনেক বন্ধুই সে রকম চিহ্ন দেখে ব্যাপারটা আমাকে জানিয়েছে। আমরাও মেয়ের শরীরে দাগ দেখেছি। এদিকে পল্লবী দে’র মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড় এসেছে। তিনি যার সঙ্গে লিভ-ইন করতেন, সেই প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর নামে হত্যা মামলা দায়ের করে পল্লবীর পরিবার।
কলকাতার হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার বিবেকভিলের বাসিন্দা সাগ্নিক। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রেমিকা পল্লবী দে’র সঙ্গে গড়ফার ফ্ল্যাটেই লিভ ইন করতেন। রোববার তিনিই প্রথম পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশকে দেওয়া জিজ্ঞাসাবাদে সাগ্নিক জানান, সিগারেট খেতে বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পল্লবীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনার পর সাগ্নিককে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তার ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। শোনা গেছে, সাগ্নিকের বিয়ে হয়েছিল। আর সেই রেজিস্ট্রিতে নাকি পল্লবীর সইও ছিল।