বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

মাঙ্কিপক্সের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।

বানরে শনাক্ত হওয়া মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা দেওয়া এই রোগ ইতিমধ্যে ইউরোপের ১০০টি দেশে ছাড়িয়ে পড়েছে। এজন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর রয়টার্সের

ইউরোপে প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয় ৭ মে। ওইদিন নাইজেরিয়া থেকে ইংল্যান্ড ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রাণীবাহিত এই রোগ প্রথম শনাক্ত হয়।

এখন নতুন করে যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতে মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এতে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ওইসব দেশে। এর মধ্যে ব্রিটেনে ২০ জন ও ১৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ মে) জার্মান সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল সার্ভিস দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও পর্তুগালে মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত হওয়ার ফলে ইউরোপে এখন পর্যন্ত এটিই এই রোগের বৃহত্তম প্রাদুর্ভাব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত মৃদু রোগ। এটি প্রাণীবাহিত। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর ও ফুসকুড়ি। ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্সে রোগী শনাক্ত হলেও ২০১৭ সালের পর এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে নাইজেরিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৭ সন্দেহভাজন রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরও জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও টিকা নেই। তবে স্মলপক্সের টিকা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

মাঙ্কিপক্সের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।

বানরে শনাক্ত হওয়া মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা দেওয়া এই রোগ ইতিমধ্যে ইউরোপের ১০০টি দেশে ছাড়িয়ে পড়েছে। এজন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর রয়টার্সের

ইউরোপে প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয় ৭ মে। ওইদিন নাইজেরিয়া থেকে ইংল্যান্ড ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রাণীবাহিত এই রোগ প্রথম শনাক্ত হয়।

এখন নতুন করে যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতে মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এতে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ওইসব দেশে। এর মধ্যে ব্রিটেনে ২০ জন ও ১৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ মে) জার্মান সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল সার্ভিস দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও পর্তুগালে মাংকিপক্স রোগী শনাক্ত হওয়ার ফলে ইউরোপে এখন পর্যন্ত এটিই এই রোগের বৃহত্তম প্রাদুর্ভাব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত মৃদু রোগ। এটি প্রাণীবাহিত। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর ও ফুসকুড়ি। ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্সে রোগী শনাক্ত হলেও ২০১৭ সালের পর এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে নাইজেরিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৭ সন্দেহভাজন রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরও জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও টিকা নেই। তবে স্মলপক্সের টিকা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।