বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি নারীর ‘প্রেমের ফাঁদে’ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, ভারতীয় সেনা গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের নারী গুপ্তচরের ‘প্রেমের ফাঁদে’ পড়ে দেশের সামরিক বাহিনী সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে ভারতীয় এক সেনাকে গ্রেপ্তারকে করা হয়েছে। রাজস্থান থেকে প্রদীপ কুমার নামে ২৪ বছর বয়সী ওই জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

যোধপুরে অবস্থানরত প্রদীপের পাকিস্তানি ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। প্রদীপের কাছাকাছি আসার জন্য ওই নারী নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেন। ওই সেনাকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার নাম ছাদাম এবং তিনি মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। পাকিস্তানি ওই নারী গুপ্তচর প্রদীপকে এটাও বিশ্বাস করিয়েছিলেন যে তিনি ব্যাঙ্গালুরুর একটি করপোরেট ফার্মে কাজ করেন।

বেশ কয়েক মাস পর, কুমার বিয়ের অজুহাতে দিল্লিতে এসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত গোপন নথি চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সামরিক ও কৌশলগত গুরুত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত গোপনীয় তথ্যের ছবি পাকিস্তানি নারীকে হোয়াটস অ্যাপে পাঠানো হয়েছিল, যিনি ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর জন্য কাজ করেন বলে জানা গেছে।

প্রদীপের সাহায্যে ফাঁদে ফেলা হয় আরও কয়েকজন সেনাকে। কাজে লাগানো হয় ওই আইএসআই গুপ্তচরের আরেক বান্ধবীকেও।

কিছুদিন আগেই পুরো বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত ১৮ মে অবশেষে রাজস্থান পুলিশ আটক করে প্রদীপকে। তাকে লাগাতার জেরা করা হয়। শেষ পর্যন্ত শনিবার গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। এর সঙ্গে আর কে কে যুক্ত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানি নারীর ‘প্রেমের ফাঁদে’ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার, ভারতীয় সেনা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত সময় : ০২:০৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

পাকিস্তানের নারী গুপ্তচরের ‘প্রেমের ফাঁদে’ পড়ে দেশের সামরিক বাহিনী সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে ভারতীয় এক সেনাকে গ্রেপ্তারকে করা হয়েছে। রাজস্থান থেকে প্রদীপ কুমার নামে ২৪ বছর বয়সী ওই জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

যোধপুরে অবস্থানরত প্রদীপের পাকিস্তানি ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। প্রদীপের কাছাকাছি আসার জন্য ওই নারী নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেন। ওই সেনাকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার নাম ছাদাম এবং তিনি মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। পাকিস্তানি ওই নারী গুপ্তচর প্রদীপকে এটাও বিশ্বাস করিয়েছিলেন যে তিনি ব্যাঙ্গালুরুর একটি করপোরেট ফার্মে কাজ করেন।

বেশ কয়েক মাস পর, কুমার বিয়ের অজুহাতে দিল্লিতে এসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত গোপন নথি চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সামরিক ও কৌশলগত গুরুত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত গোপনীয় তথ্যের ছবি পাকিস্তানি নারীকে হোয়াটস অ্যাপে পাঠানো হয়েছিল, যিনি ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর জন্য কাজ করেন বলে জানা গেছে।

প্রদীপের সাহায্যে ফাঁদে ফেলা হয় আরও কয়েকজন সেনাকে। কাজে লাগানো হয় ওই আইএসআই গুপ্তচরের আরেক বান্ধবীকেও।

কিছুদিন আগেই পুরো বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত ১৮ মে অবশেষে রাজস্থান পুলিশ আটক করে প্রদীপকে। তাকে লাগাতার জেরা করা হয়। শেষ পর্যন্ত শনিবার গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। এর সঙ্গে আর কে কে যুক্ত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।