শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসলিম ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিতে গ্রাজুয়েটদের মোমেনের আহ্বান

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মুসলিম উম্মাহর গৌরবময় অতীত থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মানবজাতির আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বকে জানিয়ে দিন যে মুসলমানরা এখনও জ্ঞানের মশাল বহন করতে পারে।

গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৪তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) অর্থায়নে পরিচালিত আইইউটি’র মূল উদ্দেশ হচ্ছে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখা।

ড. মোমেন ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বলেন, ইসলামী স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যে মুসলিম পণ্ডিতের উল্লেখযোগ্য অবদান আধুনিক সভ্যতার পথ প্রশস্ত করেছে। কিছু পশ্চিমা মিডিয়া প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদী ও ধর্মান্ধ নই যেভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামফোবিয়ার ঢেউ সম্প্রতি আমাদের চিত্রিত করেছে।

তিনি ‘বর্তমান পক্ষপাতদুষ্ট এবং সংকীর্ণভাবে তুলে ধরার প্রয়াস’ থেকে ভিন্ন এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে খ্যাতিসম্পন্ন একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া তৈরি করার জন্য মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. মোমেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন, যার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসিতে যোগদান করে। তিনি করোনাভাইরাস মহামারি সত্ত্বেও তাদের শিক্ষাবর্ষ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য আইইউটি কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান এবং ওআইটির জন্য বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত সহযোগিতা ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টরেট শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ওআইসি ও আইইউটি স্বর্ণপদক তুলে দেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, আইইউটির ভাইস-চ্যান্সেলর, ওআইসি মহাসচিবের কার্যালয়ের সফররত প্রতিনিধি দল, কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইইউটি ওআইসি সদস্য দেশগুলো থেকে সরাসরি আর্থিক অনুদান পায় এবং এর ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মুসলিম ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিতে গ্রাজুয়েটদের মোমেনের আহ্বান

প্রকাশিত সময় : ০৩:০৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মুসলিম উম্মাহর গৌরবময় অতীত থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মানবজাতির আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বকে জানিয়ে দিন যে মুসলমানরা এখনও জ্ঞানের মশাল বহন করতে পারে।

গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৪তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) অর্থায়নে পরিচালিত আইইউটি’র মূল উদ্দেশ হচ্ছে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদান রাখা।

ড. মোমেন ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বলেন, ইসলামী স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যে মুসলিম পণ্ডিতের উল্লেখযোগ্য অবদান আধুনিক সভ্যতার পথ প্রশস্ত করেছে। কিছু পশ্চিমা মিডিয়া প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদী ও ধর্মান্ধ নই যেভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামফোবিয়ার ঢেউ সম্প্রতি আমাদের চিত্রিত করেছে।

তিনি ‘বর্তমান পক্ষপাতদুষ্ট এবং সংকীর্ণভাবে তুলে ধরার প্রয়াস’ থেকে ভিন্ন এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে খ্যাতিসম্পন্ন একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া তৈরি করার জন্য মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. মোমেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন, যার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসিতে যোগদান করে। তিনি করোনাভাইরাস মহামারি সত্ত্বেও তাদের শিক্ষাবর্ষ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য আইইউটি কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান এবং ওআইটির জন্য বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত সহযোগিতা ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টরেট শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ওআইসি ও আইইউটি স্বর্ণপদক তুলে দেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, আইইউটির ভাইস-চ্যান্সেলর, ওআইসি মহাসচিবের কার্যালয়ের সফররত প্রতিনিধি দল, কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইইউটি ওআইসি সদস্য দেশগুলো থেকে সরাসরি আর্থিক অনুদান পায় এবং এর ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করে।