আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালে যারা দেশে একটিও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেনি, সেই বিএনপি যখন মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচার করে দেশবাসীর মনে তখন বিএনপি নেতাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তিনি বলেন, দেশের জনগণ আসলে বুঝে গেছে ঈর্ষান্বিত বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে না। আজ সোমবার (৩০ মে) সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন কাদের।
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা নাকি শয়তানি কারবার- মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সম্পদ কেউ যদি পাচার করে এবং পরে সেটা যদি ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে তাতো ভালো উদ্যোগ। শয়তানি কারবার হবে কেন? তিনি বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে জানতে চান, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা শুনে আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরছে কেন? কীসের এত ভয়? আপনার বক্তব্য শুনে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তবে কি আপনারা আপনাদের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরে আসার আতঙ্কে ভুগছেন
আওয়ামী লীগ একদিনও ক্ষমতায় থাকলে নাকি বিএনপিরই ক্ষতি- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় থাকলে প্রতিদিন যে পরিমাণ সম্পদ বিএনপি লুট করতে পারতো, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেই মির্জা ফখরুলের মন খারাপ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের নানা কারণে মন খারাপ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে। এ জন্যই তাদের মন খারাপ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনস্বার্থ এবং ব্যয় সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই যেকোনও প্রকল্প গ্রহণ করেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কম-বেশি এক কিলোমিটার দূরত্বে মেট্রোরেল স্টেশন রয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সমীক্ষা এবং পরামর্শকের পরামর্শ অনুযায়ী জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঈর্ষান্বিত বিএনপির নেতারা এসব প্রকল্প সম্পর্কে না জেনে না বুঝে একেক সময় একেক রকম বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বলেও মনে করেন সেতুমন্ত্রী।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























