বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯৯৯ এ ফোনে যশোরে প্রাণে বাঁচলো তিন শিশু

পথচারীর দায়িত্ববোধ আর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেলো তিন শিশু। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ড্রেনে আটকা পড়া তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (০৭ জুন) বিকেলে যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া তিন শিশু হলো- যশোর শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে নীরব (১৪), একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নয়ন হোসেন (১৩) ও নূর ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৬)।

ফায়ার সার্ভিস অফিস সূত্রে বলা হয়, যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা থেকে খালিদ হাসান নামে এক পথচারী মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চেয়ে অনুরোধ জানান। কলার জানান, সেখানে ড্রেনের ভেতর কয়েকটি শিশু আটকা পড়েছে। তিনি শিশুদের কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলেন। ড্রেনের ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে তিনি কান্নারত এক শিশুকে দেখতে পেয়েছেন। তার কাছ থেকে জানতে পেরেছেন ড্রেনের ভেতরে তার সঙ্গে আরও দুই শিশু রয়েছে।

৯৯৯-এর কনস্টেবল মোসাম্মৎ ফাতেমা আক্তার কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিক যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার জন্য অনুরোধ জানান।

খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ড্রেনে নামার আর কোনো পথ না থাকায় ঢালাই করা ড্রেনের কংক্রিট ড্রিল করে ভেঙে প্রথমে এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ড্রেনের ভেতর আধা কিলোমিটার দূর থেকে আরও দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, ওই তিন শিশু মাছ ধরার জন্য ড্রেনে নেমেছিল। হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যাওয়ার পর অন্ধকার ড্রেনের ভেতর তারা দিক ও পথ হারিয়ে ফেলে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ড্রেনের গন্ধে ও ঢাকনা বন্ধ থাকায় সেখানে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল। এজন্য শিশুরা কিছুটা অসুস্থও হয়ে পড়ে। উদ্ধারের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে সুস্থবোধ করলে স্বজনদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনা সারা শহরে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

৯৯৯ এ ফোনে যশোরে প্রাণে বাঁচলো তিন শিশু

প্রকাশিত সময় : ১১:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

পথচারীর দায়িত্ববোধ আর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেলো তিন শিশু। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ড্রেনে আটকা পড়া তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (০৭ জুন) বিকেলে যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া তিন শিশু হলো- যশোর শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে নীরব (১৪), একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নয়ন হোসেন (১৩) ও নূর ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৬)।

ফায়ার সার্ভিস অফিস সূত্রে বলা হয়, যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা থেকে খালিদ হাসান নামে এক পথচারী মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চেয়ে অনুরোধ জানান। কলার জানান, সেখানে ড্রেনের ভেতর কয়েকটি শিশু আটকা পড়েছে। তিনি শিশুদের কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলেন। ড্রেনের ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে তিনি কান্নারত এক শিশুকে দেখতে পেয়েছেন। তার কাছ থেকে জানতে পেরেছেন ড্রেনের ভেতরে তার সঙ্গে আরও দুই শিশু রয়েছে।

৯৯৯-এর কনস্টেবল মোসাম্মৎ ফাতেমা আক্তার কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিক যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার জন্য অনুরোধ জানান।

খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ড্রেনে নামার আর কোনো পথ না থাকায় ঢালাই করা ড্রেনের কংক্রিট ড্রিল করে ভেঙে প্রথমে এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ড্রেনের ভেতর আধা কিলোমিটার দূর থেকে আরও দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, ওই তিন শিশু মাছ ধরার জন্য ড্রেনে নেমেছিল। হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যাওয়ার পর অন্ধকার ড্রেনের ভেতর তারা দিক ও পথ হারিয়ে ফেলে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ড্রেনের গন্ধে ও ঢাকনা বন্ধ থাকায় সেখানে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল। এজন্য শিশুরা কিছুটা অসুস্থও হয়ে পড়ে। উদ্ধারের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে সুস্থবোধ করলে স্বজনদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনা সারা শহরে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।