বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুকুরের মাংস খাওয়া ছাড়ছেন দক্ষিণ কোরিয়ানরা

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির মানুষেরা কুকুরের মাংস খায়। তবে গত কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়া নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, কুকুরের মাংস খাওয়ার ঐতিহ্যটি আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রতকর হয়ে উঠেছে।

শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্টলেড কিম কিওন। সোমবার (১৩ জুন) স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইওনহাপ জানিয়েছে, ফার্স্ট লেডি কিম কিওনের চারটি কুকুর ও তিনটি বিড়াল রয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) তিনি স্থানীয় সিউল সিনমান সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধসহ পশু নির্যাতন বন্ধে কার্যকর অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।

কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে চিরন্তন সংস্কৃতি ভাগাভাগি করা উচিত বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ এটি (কুকুরের মাংস খাওয়া) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করলে তা শেষ পর্যন্ত মানুষের সেরা বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোই হবে।

ইওনহাপ জানিয়েছে, গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউন সুক ইওল দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন ফার্স্ট লেডি কিম কিওন। তিনি বলেছেন, একটি নীতিমালা তৈরি করে কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করা যেতে পারে। কুকুরের মাংসের ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ব্যবসা থেকে বের হয়ে আসতে সরকারি সহায়তার বিষয়গুলো এই নীতিমালার মধ্যে থাকতে পারে।

ফার্স্ট লেডি কিম কিওন ওই সাক্ষাৎকারে পশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাণী সুরক্ষা আইন সবচেয়ে দুর্বল। আমাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ পোষা প্রাণী রয়েছে। যদি পশু নির্যাতনকারীদের শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হয়, তাহলে আমরা ওকটি বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন সমাজ পাব। আসলে পশু নির্যাতন আর পারিবারিক সহিংসতা একই অন্যায়ের দুটি ভিন্ন শাখা মাত্র।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কুকুরের মাংস খাওয়া ছাড়ছেন দক্ষিণ কোরিয়ানরা

প্রকাশিত সময় : ০৪:০৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির মানুষেরা কুকুরের মাংস খায়। তবে গত কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়া নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, কুকুরের মাংস খাওয়ার ঐতিহ্যটি আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রতকর হয়ে উঠেছে।

শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্টলেড কিম কিওন। সোমবার (১৩ জুন) স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইওনহাপ জানিয়েছে, ফার্স্ট লেডি কিম কিওনের চারটি কুকুর ও তিনটি বিড়াল রয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) তিনি স্থানীয় সিউল সিনমান সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধসহ পশু নির্যাতন বন্ধে কার্যকর অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।

কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে চিরন্তন সংস্কৃতি ভাগাভাগি করা উচিত বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ এটি (কুকুরের মাংস খাওয়া) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করলে তা শেষ পর্যন্ত মানুষের সেরা বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোই হবে।

ইওনহাপ জানিয়েছে, গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউন সুক ইওল দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন ফার্স্ট লেডি কিম কিওন। তিনি বলেছেন, একটি নীতিমালা তৈরি করে কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করা যেতে পারে। কুকুরের মাংসের ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ব্যবসা থেকে বের হয়ে আসতে সরকারি সহায়তার বিষয়গুলো এই নীতিমালার মধ্যে থাকতে পারে।

ফার্স্ট লেডি কিম কিওন ওই সাক্ষাৎকারে পশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাণী সুরক্ষা আইন সবচেয়ে দুর্বল। আমাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ পোষা প্রাণী রয়েছে। যদি পশু নির্যাতনকারীদের শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হয়, তাহলে আমরা ওকটি বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন সমাজ পাব। আসলে পশু নির্যাতন আর পারিবারিক সহিংসতা একই অন্যায়ের দুটি ভিন্ন শাখা মাত্র।