শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী সহিংসতা: পুলিশের গুলিতে শিশুসহ আহত ৩

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছড়া গুলিতে আহত দুই বছরের শিশুসহ ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন, রাফিয়াত ইসলাম লামিসা (২), তার মা রুবিনা আক্তার (৩৬) ও মো. ইমরান হোসেন ব্যাপারী (৩০)।

বুধবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

শিশুটির খালা রাজিয়া সুলতানা জানান, লামিসার বাবা শফিউল ইসলাম ও মা রুবিনা জাজিরার রহিমউদ্দিন মালাইমৃধা কান্দি এলাকায় থাকেন। রুবিনার বাবার বাড়ি এলাকা বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে আজ। তিনি সেখানকার ভোটার। এজন্য স্বামী সন্তানকে নিয়ে আজ সকালেই বাবার বাড়িতে যান। দিনের বেলাতেই বাবার বাড়ির সঙ্গেই “সিকদার বাড়ি কেন্দ্রে” ভোট দেয় রুবিনা। বিকেল ৪টায় ভোট দেওয়া শেষ হলে পরে যখন ভোট গণনা চলছিল তখন তারা বাড়ির ভিতর বসে জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছিলেন। এমন সময় ভোট কেন্দ্রের ভিতরে থেকে হই হুল্লোড় শুরু করলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা সমর্থকরাও হট্টগোল তৈরি করে। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছড়া গুলি ছোড়তে থাকে। তখনই জানলার পাশে বসে থাকা রুবিনা ও তার মেয়ে লামিসা গুলিবিদ্ধ হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটির পেটে ও পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। এছাড়া শিশুটির মায়েরও হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে। ইমরানের মাথায় ছড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ইমরানের স্বজনরা জানান, সে কৃষি কাজ করে। বাড়ি পালং উপজেলার চিতলীয়া গ্রামে। তার চাচা শ্বশুর আজহার মাদবর জাজিরা উপজেলার ওই ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী। তার সমর্থনেই ওই এলাকায় গিয়েছিলে সে। বিকেলে কেন্দ্রের বাইরে গোলযোগ শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছড়া গুলিতে আহত হয় সে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনী সহিংসতা: পুলিশের গুলিতে শিশুসহ আহত ৩

প্রকাশিত সময় : ১১:৪৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছড়া গুলিতে আহত দুই বছরের শিশুসহ ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন, রাফিয়াত ইসলাম লামিসা (২), তার মা রুবিনা আক্তার (৩৬) ও মো. ইমরান হোসেন ব্যাপারী (৩০)।

বুধবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

শিশুটির খালা রাজিয়া সুলতানা জানান, লামিসার বাবা শফিউল ইসলাম ও মা রুবিনা জাজিরার রহিমউদ্দিন মালাইমৃধা কান্দি এলাকায় থাকেন। রুবিনার বাবার বাড়ি এলাকা বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে আজ। তিনি সেখানকার ভোটার। এজন্য স্বামী সন্তানকে নিয়ে আজ সকালেই বাবার বাড়িতে যান। দিনের বেলাতেই বাবার বাড়ির সঙ্গেই “সিকদার বাড়ি কেন্দ্রে” ভোট দেয় রুবিনা। বিকেল ৪টায় ভোট দেওয়া শেষ হলে পরে যখন ভোট গণনা চলছিল তখন তারা বাড়ির ভিতর বসে জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছিলেন। এমন সময় ভোট কেন্দ্রের ভিতরে থেকে হই হুল্লোড় শুরু করলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা সমর্থকরাও হট্টগোল তৈরি করে। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছড়া গুলি ছোড়তে থাকে। তখনই জানলার পাশে বসে থাকা রুবিনা ও তার মেয়ে লামিসা গুলিবিদ্ধ হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটির পেটে ও পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। এছাড়া শিশুটির মায়েরও হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে। ইমরানের মাথায় ছড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ইমরানের স্বজনরা জানান, সে কৃষি কাজ করে। বাড়ি পালং উপজেলার চিতলীয়া গ্রামে। তার চাচা শ্বশুর আজহার মাদবর জাজিরা উপজেলার ওই ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী। তার সমর্থনেই ওই এলাকায় গিয়েছিলে সে। বিকেলে কেন্দ্রের বাইরে গোলযোগ শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছড়া গুলিতে আহত হয় সে।