1. news@dailydeshnews.com : Admin2021News :
  2. : deleted-txS0YVEn :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন

হজ আদায়ে নারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয়

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২
  • ১০৭ পঠিত

আল্লাহ তাআলা হজকে মানুষের জন্য ফরজ করেছেন। তবে তা শর্ত সাপেক্ষে ফরজ করা হয়েছে। এ ছাড়া যার শারীরিক সক্ষমতা নেই কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি আছে, সে ব্যক্তির জন্য অন্য কাউকে দিয়ে হজ করানো ওয়াজিব। তবে নারীরা সামর্থ্যবান হলে তাদের ওপরও হজ করা ফরজ। হজ আদায়ের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষভাবে পালনীয় কিছু বিধান রয়েছে; যা তাদের হজ পালনে সুবিধা ও পবিত্রতা রক্ষায় অধিক সহায়ক।

প্রত্যেক নারীকে অবশ্যই মাহরাম পুরুষের সঙ্গে হজে যেতে হবে। মাহরাম বলা হয়, এমন পুরুষকে যার সঙ্গে দেখা দেওয়া জায়েজ। যেমন- পিতা, ছেলে, স্বামী, আপন ভাই, আপন চাচা, আপন মামা ইত্যাদি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো নারী যেন স্বীয় মাহরাম ছাড়া সফর না করে। এরপর এক সাহাবি আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল! আমি জিহাদে যাওয়ার জন্য সেনাদলে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছি, আর আমার স্ত্রী হজে যেতে ইচ্ছা করেছে। এ কথা শুনে রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমিও তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজে যাও।’ (বুখারি)

কোনো নারী যদি সমগ্র জীবনে মাহরাম না পায়; তাতেও তার পক্ষে স্বশরীরে গিয়ে হজ আদায় করার অনুমতি নেই। তবে নারীদের হজ আদায়ে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয়। যা তুলে ধরা হলো-

স্বামীর মৃত্যুর পর ইদ্দত পালন অথবা তালাকের ইদ্দত পালনকারিণী নারীর জন্য হজে যাওয়ার অনুমতি নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যাবে, তাদের স্ত্রীরা ৪ মাস ১০ দিন অপেক্ষা করবে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৩৪)

ইদ্দত শেষ হলে পরের বছর (সামর্থ্য থাকলে) হজ করতে পারবে। তবে হজের টাকা জমা দেওয়ার পরে যদি স্বামী মারা যায় তবে সম্পদ রক্ষার্থে ও সম্পদের অপচয় রোধে একদল ইসলামিক স্কলারের মতে, ইদ্দত অবস্থায়ও হজ করার অবকাশ রয়েছে। (দুররুল মুখতার)

ঋতুকালীন অবস্থায় হজ- মাসিক ঋতুবর্তী ও প্রসূতি নারীর জন্য গোসল করে হজের ইহরাম বাঁধা জায়েজ। হানাফি ও শাফেয়ি মাজহাবসহ অধিকাংশ আলেমের মতে, রক্তস্রাব ও প্রসূতি নারীদের ইহরাম বাঁধার আগে গোসল করা মুস্তাহাব।

গোসল করা সম্ভব না হলে বা অসুবিধা বোধ করলে অজু করবে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আসমা বিনতে উমায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা (হজ পালনের জন্য) জুলহুলায়ফা নামক স্থানে (এসে) আবু বকরের পুত্র মুহাম্মাদকে প্রসব করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু বকরের মাধ্যমে তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিলেন। (মুসলিম)

ঋতুবর্তী ও প্রসূতিকালীন সময়ে নারীরা বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতিত হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। কারণ পবিত্র কাবা শরিফে অবপবিত্র অবস্থায় প্রবেশ করা নিষেধ। নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসূতিকালীন সময় শেষ হলে পবিত্রতা লাভের পর বাইতুল্লায় তাওয়াফ আদায় করে নিবে। তবে হজ পালনের জন্য নারীরা ওষুধের মাধ্যমে মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ রেখেও হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে এমনটি করা নিষ্প্রয়োজন।

সুতরাং নারীদের হজ ও ওমরা পালনে মাহরাম ব্যক্তির র্শত পূরনের পাশাপাশি উল্লেখিত বিষয়সমূহের প্রতি যথাযথ দৃষ্টি রাখা উচিত। আল্লাহ তাআলা হজের ইচ্ছা পোষণকারী নারীদেরকে হজ পালনে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথভাবে যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All Rights Reserved © DAILY DESH NEWS.COM 2020-2023
Theme Customized BY Sky Host BD