সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে নিখোঁজ সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সিলেট সদরে তিন জন, সুনামগঞ্জের ছাতকে তিন জন ও মৌলভীবাজারে একজন রয়েছেন।
সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নে দাদি-নাতিসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা এ কে আবুল কাশেম (২৪) ও তার দাদি ছুরেতুন নেছা (১০৫)। তাদের বাড়ি সুজাতপুর গ্রামে। অপর ব্যক্তি হচ্ছেন আব্দুল হাদি (১৮)। তিনি নলকট গ্রামের বাসিন্দা।
সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রভাষক সেলিম আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আবুল কাশেম তার পরিবারের সঙ্গে মদীনা মার্কেট এলাকায় বসবাস করেন। বন্যার পানি বাড়ায় বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে দাদি ও চাচাতো বোনদের নিয়ে আসতে যান তিনি। ফেরার পথে সুজাতপুর আইডিয়াল স্কুল এলাকায় তাদের নৌকাটি যুবে যায়। এসময় তার চাচাতো দুই বোন উল্টে যাওয়া নৌকা ধরে প্রাণে বাঁচলেও দাদি-নাতি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার দাদি ছুরেতুন নেছার লাশ ভেসে ওঠে। এছাড়া, গতকাল রোববার সকালে আবুল কাশেমের লাশ একই জায়গায় ভেসে উঠে। সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে কুমারগাঁও এলাকায় তাদের দাফন করা হয়।
এদিকে, কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নলকট গ্রামে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বন্যার পানির আব্দুল হাদি (১৮) নামে এক তরুণ ভেসে যান। গতকাল রোববার তার বাড়ির পাশে লাশ ভেসে উঠে। হাদি নলকট গ্রামের প্রবাসী কাছা মিয়ার ছেলে।