সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে বাঁধ ভেঙে প্লাবন, কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি রয়েছে বিপৎসীমার অনেকটা ওপরে। এদিকে পাশের জেলা কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি রয়েছে।

সোমবার রাত ১২টার দিকে ফেনীর দেড়পাড়া, দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া ড্রাম ও নিলক্ষ্মী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এ সময় পানির গতি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের পরিধিও বাড়তে থাকে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

মুহুরী নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ অবস্থায় বাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না। পানি কমলে বাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দ্রুতগতিতে পানি বাড়ছে আর ডুবছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, মাছের ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার।একুশে টেলিভিশন

এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ওই এলাকার পাহাড়ি ঢলে বৃদ্ধি পাচ্ছে গোমতীর পানি। কুমিল্লার বিভিন্ন পয়েন্টে এই নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।   

এতে এরইসমধ্যে কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকার বাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে। ফলে এসব এলাকায় মানুষদের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর ও কামারখাড়া এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো স্থানীয় লোকজন মিলে সংস্কার করছেন বলে জানা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ফেনীতে বাঁধ ভেঙে প্লাবন, কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা

প্রকাশিত সময় : ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি রয়েছে বিপৎসীমার অনেকটা ওপরে। এদিকে পাশের জেলা কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি রয়েছে।

সোমবার রাত ১২টার দিকে ফেনীর দেড়পাড়া, দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া ড্রাম ও নিলক্ষ্মী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এ সময় পানির গতি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের পরিধিও বাড়তে থাকে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

মুহুরী নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ অবস্থায় বাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না। পানি কমলে বাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দ্রুতগতিতে পানি বাড়ছে আর ডুবছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, মাছের ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার।একুশে টেলিভিশন

এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ওই এলাকার পাহাড়ি ঢলে বৃদ্ধি পাচ্ছে গোমতীর পানি। কুমিল্লার বিভিন্ন পয়েন্টে এই নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।   

এতে এরইসমধ্যে কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকার বাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে। ফলে এসব এলাকায় মানুষদের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর ও কামারখাড়া এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো স্থানীয় লোকজন মিলে সংস্কার করছেন বলে জানা গেছে।