রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমন্ত্রণ পাননি খালেদা জিয়া, পত্র নিয়েছেন ড. ইউনূস

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ কাজ শেষ। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে এই উদ্ভোদন উপলক্ষে সারাদেশ ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সরকার। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়নি সরকার। তবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জমকালো এ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন) রুপম আনোয়ার বলেন, বিএনপির সাত নেতাকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিঠি দিয়ে। খালেদা জিয়াকে আলাদা করে কোনো আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়নি। তবে ড. ইউনূসকে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে সেটি বুধবারই রিসিভ হয়েছে। জমকালো এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র পত্র দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এর মধ্যে আছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ অনেকে রয়েছেন।

অনেক বিদেশী অতিথিদের ও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বিদেশি অতিথিদের মধ্যে আছেন পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া আমাদের বিদেশি কর্মী যারা এই সেতু তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা আমন্ত্রিত হিসেবে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু। এরপর পর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দু’টি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে সেতুটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আমন্ত্রণ পাননি খালেদা জিয়া, পত্র নিয়েছেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ কাজ শেষ। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে এই উদ্ভোদন উপলক্ষে সারাদেশ ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সরকার। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়নি সরকার। তবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জমকালো এ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন) রুপম আনোয়ার বলেন, বিএনপির সাত নেতাকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিঠি দিয়ে। খালেদা জিয়াকে আলাদা করে কোনো আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়নি। তবে ড. ইউনূসকে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে সেটি বুধবারই রিসিভ হয়েছে। জমকালো এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র পত্র দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এর মধ্যে আছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ অনেকে রয়েছেন।

অনেক বিদেশী অতিথিদের ও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বিদেশি অতিথিদের মধ্যে আছেন পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া আমাদের বিদেশি কর্মী যারা এই সেতু তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা আমন্ত্রিত হিসেবে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু। এরপর পর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দু’টি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে সেতুটি।