রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ‘National Seminar on Promoting Responsible Digital Practises’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাম এন এম জিয়াউল আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান জাতীয় সেমিনার আয়োজনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম এবং ডিনেটের প্রশংসা করেন। ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক এম শাহাদাত হোসেন, এফআরডিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং ডিনেটের যুগ্ম পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময়, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিজ এক্সেলেন্সি চার্লস হোয়াইটলি, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.শহিদুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, আইনজীবি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ তরুণদের ডিজিটাল সুরক্ষা ব্যবস্থা, নীতি এবং আইনগত অধিকার বিষয়ে দায়িত্বশীল ডিজিটাল অনুশীলনে আলোকপাত করেন।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ডিনেটের স্টুডেন্টস মেন্টর রওনক আরা পারভীনের তত্ত্বাবধায়নে ৪ টি বিভাগের টিম ফ্যাসিলিটেটর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তহমিনা আক্তার, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ১১ তম সেমিস্টারের মো: রাফিকুল ইসলাম, সি.এস.ই বিভাগের ১০ ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রিফাত আমিন রিয়া এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সবনাজ মোস্তারী স্মৃতি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রওনক আরা পারভীন ডিনেট প্রদত্ত মডিউলের সংক্ষিপ্ত পাঠ জাতীয় শিক্ষাক্রমে সংযোজনের মতামত প্রকাশ করলে ইতিবাচক সমর্থন পান।
ডিনেট “Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) সহ-অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল তরুণদের মাঝে ডিজিটাল দুনিয়ায় ইতিবাচক আচরণের সংস্কৃতিকে প্রচার করে এবং অনলাইনে স্বাধীনভাবে এবং নিরাপদে নিজেদের প্রকাশ করতে উৎসাহিত করা। প্রকল্পের অধীনে, ডিনেট ৫টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সংযুক্ত করে ঢাকা ও রাজশাহীতে ৫,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। তিন বছর ব্যাপী প্রকল্পটি অনলাইন লার্নিং পোর্টাল (www.digitalcitizenbd.com), সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশী ডিজিটাল নাগরিককে সচেতন করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
























