করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠদান ব্যাহত হয়। দীর্ঘ বিরতির পর চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পাঠদান কার্যক্রম চালু করলেও সম্প্রতি বন্যায় নেত্রকোনায় ১০ উপজেলার এক হাজার ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রবিবার পর্যন্ত গত নয়দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এসবের মধ্যে বন্যায় প্লাবিত ও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও ভকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি ও সামনে কোরবানী ঈদ পরবর্তীতে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি চালুর বিষয়টি এমনটা জানায় জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় এক হাজার ৩১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বন্যার কারণে ৮৭২টি বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। এরমধ্যে ৬২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় প্লাবিত ও ২৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশ রূপান্তর
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ ৮৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এতদিন কোভিড ১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় স্কুলগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালু হল। বছরের মাঝামাঝিতে আবার বন্যায় বিদ্যালয় প্লাবিত ও আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য বন্ধ করতে হয়েছে। দীর্ঘ করোনার বিরতির পর প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রোগ্রামও নেওয়া হয়েছিল। সামনে কোরবানি ঈদের বন্ধ চলে আসবে।
বন্যা শেষে নতুন করে গ্রোগ্রাম নেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে জানান তিনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর জানান, জেলায় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও ভকেশনাল পর্যায়ের সব মিলিয়ে ৪১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্যার কারণে ১৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এবং এসব বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ৫৬১ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের তালিকা কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























