বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরমে ভয়াবহ পরিস্থিতি জাপানের রাজধানী টোকিওতে

১৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ভয়াবহ পরিস্থিতি জাপানের রাজধানী টোকিওতে। লাগাতার তিনদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে সেখানে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে যায়। তার সঙ্গে প্রায় পুরো দিন ধরেই চলতে থাকে তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে জাপানের প্রশাসন জানিয়েছে, গরমের জন্য মানুষ অত্যধিক মাত্রায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র ব্যবহার করছেন। যার জেরে বিদ্যুৎঘাটতি শুরু হয়েছে। এমন চলতে থাকলে গোটা টোকিও শহর অন্ধকার করে দিতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

এবছর রেকর্ড তাপপ্রবাহ হচ্ছে টোকিওতে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এখনো পর্যন্ত ৭৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এত গরম দেখার অভ্যাস নেই টোকিওর। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারও আগে এত ছিল না। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে গরম ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। ২০১৮ সালে প্রথম তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছিল। তারপর থেকেই ঘরে ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কেনা শুরু হয়।

জাপানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তাতে এত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র সাপোর্ট করা সম্ভব নয়। সে কারণেই সকলকে বিদ্যুতের কথা মাথায় রাখার আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, বয়স্ক মানুষদের আরাম প্রয়োজন। তারা সারাদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বাকিদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে না পারলে গোটা টোকিও অন্ধকার করে দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গরমে ভয়াবহ পরিস্থিতি জাপানের রাজধানী টোকিওতে

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

১৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ভয়াবহ পরিস্থিতি জাপানের রাজধানী টোকিওতে। লাগাতার তিনদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে সেখানে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে যায়। তার সঙ্গে প্রায় পুরো দিন ধরেই চলতে থাকে তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে জাপানের প্রশাসন জানিয়েছে, গরমের জন্য মানুষ অত্যধিক মাত্রায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র ব্যবহার করছেন। যার জেরে বিদ্যুৎঘাটতি শুরু হয়েছে। এমন চলতে থাকলে গোটা টোকিও শহর অন্ধকার করে দিতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

এবছর রেকর্ড তাপপ্রবাহ হচ্ছে টোকিওতে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এখনো পর্যন্ত ৭৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এত গরম দেখার অভ্যাস নেই টোকিওর। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারও আগে এত ছিল না। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে গরম ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। ২০১৮ সালে প্রথম তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছিল। তারপর থেকেই ঘরে ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কেনা শুরু হয়।

জাপানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তাতে এত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র সাপোর্ট করা সম্ভব নয়। সে কারণেই সকলকে বিদ্যুতের কথা মাথায় রাখার আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, বয়স্ক মানুষদের আরাম প্রয়োজন। তারা সারাদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বাকিদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে না পারলে গোটা টোকিও অন্ধকার করে দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।