তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ বিএনপির ওপর নানা কারণে বিরক্ত। কারণ তারা জনগণের বিষয় নিয়ে আন্দোলন করে না। তারা কথা বলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তারেক জিয়ার শাস্তি নিয়ে। গতকাল রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে
সাংবাদিকরা ঈদের পরে বিএনপি চরমভাবে আন্দোলনে নামবে -এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ঈদের পরে আন্দোলন, শীতের পরে আন্দোলন, পরীক্ষার পরে, বর্ষার পরে আন্দোলন- এটি আমরা গত ১৩ বছর ধরে শুনে আসছি। এখন এটা কি এই ঈদের পরে না কোন ঈদের পরে, সেটা আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বের করতে হবে।
এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে আলোচনাসভায় মিলিত হন। ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে। ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন বলেন, প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন বা অনলাইন সংবাদপোর্টালে টক শো বা সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের কোনো সুযোগ নেই।
ফোরামের নেতৃবৃন্দ এ সময় নামসর্বস্ব ও অনিয়মিত পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদান বন্ধ ও মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল, বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ, সংবাদপত্রগুলোর প্রচারসংখ্যা নির্ধারণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, অপেশাদার সাংবাদিককে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব না দেওয়া, সম্পাদক ফোরামের সদস্যদের ভিআইপি মর্যাদা প্রদান ও বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি এবং পত্রিকার ডিক্লারেশন দেওয়ার ক্ষমতা তথ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করাসহ ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি পত্র মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন।
ফোরামের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং উপদেষ্টাদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন ও সদস্যদের মধ্যে দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মীর মনিরুজ্জামান, মফিজুর রহমান খান বাবু, রিমন মাহফুজ, নাজমুল আলম তৌফিক, জগদীশচন্দ্র সরকার প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























