সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতের ইমামতি করেন দরবারের পীর জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। অপরদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজের ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
এছাড়া জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়েছে।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীর শাইখ মো. আরিফ চৌধুরী জানান, এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন।
জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি।
মাওলানা ইসহাক ওই বছরই নিজ গ্রামে ফিরে একই উদ্যোগ নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা চালু করেন। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























