শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেভাবে পালিয়ে গেলেন শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট

শ্রীলংকার প্রেশ্রীলংকার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানায়। সিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একটি সামরিক বিমানে তিনি মালদ্বীপ গেছেন। তার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া দেশ ছাড়লেন। দেশ ছাড়ার আগে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে গেছেন। 

বুধবার পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে ঘোষণা দিতে পারেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে।এএফপি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও এক দেহরক্ষীসহ চার যাত্রী নিয়ে সামরিক বিমান অ্যান্তোনভ–৩২ মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর আগে বিমানব্ন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তাদের বাধার মুখে আকাশপথে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর সমুদ্রপথে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন গোতাবায়া। বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা গোতাবায়ার পাসপোর্টে সিল মারতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার এই দ্বীপ দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নৌবাহিনীর টহল নৌযান ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের ডেপুটি এডিটর জামিলা হুসাইনের বরাতে জানা যায়, মালদ্বীপে অবতরণের পর কড়া নিরাপত্ত্যা রাখা হয়েছে গোতাবায়া হয়েছে। তার আশপাশে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছে।

অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলংকার জনগণ দুর্ভোগের জন্য রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করছে। গত শনিবার তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এর পর থেকে মূলত আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় ভোরে মালের ভেলেনা বিমানবন্দরে পৌঁছায় গোতাবায়াকে বহনকারী সামরিক বিমান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও দুই নিরাপত্তা প্রহরি। কলম্বোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে রওনা দেয় সামরিক বিমানটি।

মালদ্বীপে পৌঁছানোর পর গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও দুই দেহরক্ষীকে গোপনস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে পালিয়ে যেতে ভারত সহায়তা করেছে বলে ওঠা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রীলংকার ভারতীয় দূতাবাস। 

এক বিবৃতিতে তারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেছে, তারা শ্রীলঙ্কার জনগনকে সমর্থন করা অব্যাহত রাখবে।

দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট। সেই কারণে পদত্যাগের আগেই দেশ ছাড়তে চেয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। নতুন প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করতে পারে এই আশঙ্কা ছিল তার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে পালিয়ে গেলেন শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত সময় : ০৫:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২

শ্রীলংকার প্রেশ্রীলংকার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানায়। সিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একটি সামরিক বিমানে তিনি মালদ্বীপ গেছেন। তার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া দেশ ছাড়লেন। দেশ ছাড়ার আগে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে গেছেন। 

বুধবার পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে ঘোষণা দিতে পারেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে।এএফপি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও এক দেহরক্ষীসহ চার যাত্রী নিয়ে সামরিক বিমান অ্যান্তোনভ–৩২ মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর আগে বিমানব্ন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তাদের বাধার মুখে আকাশপথে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর সমুদ্রপথে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন গোতাবায়া। বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা গোতাবায়ার পাসপোর্টে সিল মারতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার এই দ্বীপ দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নৌবাহিনীর টহল নৌযান ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের ডেপুটি এডিটর জামিলা হুসাইনের বরাতে জানা যায়, মালদ্বীপে অবতরণের পর কড়া নিরাপত্ত্যা রাখা হয়েছে গোতাবায়া হয়েছে। তার আশপাশে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছে।

অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলংকার জনগণ দুর্ভোগের জন্য রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করছে। গত শনিবার তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এর পর থেকে মূলত আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় ভোরে মালের ভেলেনা বিমানবন্দরে পৌঁছায় গোতাবায়াকে বহনকারী সামরিক বিমান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও দুই নিরাপত্তা প্রহরি। কলম্বোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে রওনা দেয় সামরিক বিমানটি।

মালদ্বীপে পৌঁছানোর পর গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও দুই দেহরক্ষীকে গোপনস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে পালিয়ে যেতে ভারত সহায়তা করেছে বলে ওঠা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রীলংকার ভারতীয় দূতাবাস। 

এক বিবৃতিতে তারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেছে, তারা শ্রীলঙ্কার জনগনকে সমর্থন করা অব্যাহত রাখবে।

দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট। সেই কারণে পদত্যাগের আগেই দেশ ছাড়তে চেয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। নতুন প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করতে পারে এই আশঙ্কা ছিল তার।