বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার পৃথিবীসদৃশ গ্রহে পানির অস্তিত্ব ধরা পড়ল নাসার টেলিস্কোপে

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এবার আকাশগঙ্গার ছায়াপথের দূরতম স্থানে পৃথিবীসদৃশ একটি গ্রহে পানির অস্তিত্ব শনাক্ত করেছে। বুধবার নাসা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ১ হাজার ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে ডব্লিউএএসপি–৯৬বি নামের ওই গ্যাসীয় গ্রহটির অবস্থান।

সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তন করা উষ্ণ বায়ুমণ্ডলের পৃথিবীসদৃশ ওই গ্রহে (এক্সোপ্লানেট) মেঘ ও কুয়াশা থাকার প্রমাণও মিলেছে।

পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, নাসা, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির বানানো জেমস ওয়েব। এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহত্তম টেলিস্কোপ। এই টেলিস্কোপটি বানানো হয়েছে দূর মহাকাশে, মহাবিশ্বের শুরুর দিকে গ্যালাক্সি সৃষ্টির সময়কে দেখার জন্য। জেমস ওয়েবের আগে হাবল টেলিস্কোপ গত দুদশকে অসংখ্য এক্সোপ্ল্যানেটকে নজরবন্দি করেছে। ২০১৩ সালে প্রথম স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করেছে পানির উপস্থিতি। কিন্তু জেমস ওয়েব অভিযানে নেমেই চমক লাগিয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির প্রাণের অনুকূল কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রহ হিসেবে এখন পর্যন্ত ডব্লিউএএসপি–৯৬বিকে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে এ টেলিস্কোপ দিয়ে। এ থেকে দূরবর্তী পৃথিবীসদৃশ গ্রহটির বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করার জন্য এ টেলিস্কোপের অভূতপূর্ব সক্ষমতা লক্ষ করা গেল। আমাদের এই আকাশগঙ্গার ছায়াপথে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি গ্রহ শনাক্ত হয়েছে।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, ডব্লিউএএসপি–৯৬বি তার সূর্যের মতো নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর প্রতি সাড়ে তিনদিনের মতো সময়ে নক্ষত্রকে আবর্তন সম্পন্ন করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এবার পৃথিবীসদৃশ গ্রহে পানির অস্তিত্ব ধরা পড়ল নাসার টেলিস্কোপে

প্রকাশিত সময় : ০৪:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এবার আকাশগঙ্গার ছায়াপথের দূরতম স্থানে পৃথিবীসদৃশ একটি গ্রহে পানির অস্তিত্ব শনাক্ত করেছে। বুধবার নাসা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ১ হাজার ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে ডব্লিউএএসপি–৯৬বি নামের ওই গ্যাসীয় গ্রহটির অবস্থান।

সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তন করা উষ্ণ বায়ুমণ্ডলের পৃথিবীসদৃশ ওই গ্রহে (এক্সোপ্লানেট) মেঘ ও কুয়াশা থাকার প্রমাণও মিলেছে।

পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, নাসা, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির বানানো জেমস ওয়েব। এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহত্তম টেলিস্কোপ। এই টেলিস্কোপটি বানানো হয়েছে দূর মহাকাশে, মহাবিশ্বের শুরুর দিকে গ্যালাক্সি সৃষ্টির সময়কে দেখার জন্য। জেমস ওয়েবের আগে হাবল টেলিস্কোপ গত দুদশকে অসংখ্য এক্সোপ্ল্যানেটকে নজরবন্দি করেছে। ২০১৩ সালে প্রথম স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করেছে পানির উপস্থিতি। কিন্তু জেমস ওয়েব অভিযানে নেমেই চমক লাগিয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির প্রাণের অনুকূল কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রহ হিসেবে এখন পর্যন্ত ডব্লিউএএসপি–৯৬বিকে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে এ টেলিস্কোপ দিয়ে। এ থেকে দূরবর্তী পৃথিবীসদৃশ গ্রহটির বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করার জন্য এ টেলিস্কোপের অভূতপূর্ব সক্ষমতা লক্ষ করা গেল। আমাদের এই আকাশগঙ্গার ছায়াপথে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি গ্রহ শনাক্ত হয়েছে।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, ডব্লিউএএসপি–৯৬বি তার সূর্যের মতো নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর প্রতি সাড়ে তিনদিনের মতো সময়ে নক্ষত্রকে আবর্তন সম্পন্ন করে।