শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউরোপের দাবানলে মৃত্যু আশঙ্কা কয়েক হাজার

গরমে প্রাণ শুকিয়ে যাচ্ছে। রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ভয়াবহ দাবদাহ প্রবাহিত হচ্ছে।

মৃত্যু হতে পারে কয়েক হাজার মানুষের। যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, ফ্রান্স, স্পেন, গ্রিস ও মরোক্কো এই দাবদাহের প্রধান শিকার।

যুক্তরাজ্যে সোম ও মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠার আশঙ্কা আছে। গরমে একদম গলে যাচ্ছে দেশটি।

তাপদাহ নিয়ে কোবরা কমিটি বসেছে মিটিংয়ে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই গরমে কয়েক হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।

লন্ডনবাসীকে বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেছেন মেয়র সাজিদ খান। স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধানদের আশঙ্কা করছেন তাপ বাড়লে এই সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে।

ইতোমধ্যেই আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শনিবারের কোবরা মিটিং শেষে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশটিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সতর্ক না হলে এমন ক্রমবর্ধমান তাপে মারা যেতে পারে কয়েক হাজার মানুষ।

আবহাওয়াবিদরা বলেন, তাপের কারণে মৃত্যু হতে পারে ২০০০ মানুষের। গত বছর আরও কম তাপে মারা গেছেন প্রায় এক হাজার ৬০০ মানুষ।

শুধু ব্রিটেন নয়, ইউরোপের নানা দেশ ভুগছে অতিমাত্রার তাপদাহে। দমকল বাহিনীর হাজার হাজার কর্মী কাজ করছেন আগুন নেভাতে।

কয়েক দিন ধরেই চলছে এমন পরিস্থিতি। দাবানল কমার কোনো লক্ষণ নেই। এখন পর্যন্ত এই দুর্যোগে পর্তুগালে ২৩৮ জনের ও স্পেনে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসি।

দাবানল দেখা দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া এবং হাঙ্গারিতেও। সামনে ইউরোপে এমন আরও দাবানল হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

হাজার হাজার মানুষকে দাবানল থেকে বাঁচাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানলে পুড়েছে জমি, বাড়িঘর। আবহাওয়ার এমন বিরূপ অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইউরোপের দাবানলে মৃত্যু আশঙ্কা কয়েক হাজার

প্রকাশিত সময় : ১১:০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

গরমে প্রাণ শুকিয়ে যাচ্ছে। রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ভয়াবহ দাবদাহ প্রবাহিত হচ্ছে।

মৃত্যু হতে পারে কয়েক হাজার মানুষের। যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, ফ্রান্স, স্পেন, গ্রিস ও মরোক্কো এই দাবদাহের প্রধান শিকার।

যুক্তরাজ্যে সোম ও মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠার আশঙ্কা আছে। গরমে একদম গলে যাচ্ছে দেশটি।

তাপদাহ নিয়ে কোবরা কমিটি বসেছে মিটিংয়ে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই গরমে কয়েক হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।

লন্ডনবাসীকে বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেছেন মেয়র সাজিদ খান। স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধানদের আশঙ্কা করছেন তাপ বাড়লে এই সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে।

ইতোমধ্যেই আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শনিবারের কোবরা মিটিং শেষে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশটিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সতর্ক না হলে এমন ক্রমবর্ধমান তাপে মারা যেতে পারে কয়েক হাজার মানুষ।

আবহাওয়াবিদরা বলেন, তাপের কারণে মৃত্যু হতে পারে ২০০০ মানুষের। গত বছর আরও কম তাপে মারা গেছেন প্রায় এক হাজার ৬০০ মানুষ।

শুধু ব্রিটেন নয়, ইউরোপের নানা দেশ ভুগছে অতিমাত্রার তাপদাহে। দমকল বাহিনীর হাজার হাজার কর্মী কাজ করছেন আগুন নেভাতে।

কয়েক দিন ধরেই চলছে এমন পরিস্থিতি। দাবানল কমার কোনো লক্ষণ নেই। এখন পর্যন্ত এই দুর্যোগে পর্তুগালে ২৩৮ জনের ও স্পেনে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসি।

দাবানল দেখা দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া এবং হাঙ্গারিতেও। সামনে ইউরোপে এমন আরও দাবানল হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

হাজার হাজার মানুষকে দাবানল থেকে বাঁচাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানলে পুড়েছে জমি, বাড়িঘর। আবহাওয়ার এমন বিরূপ অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা।