শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলংকায় আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

নানামুখী সংকটে জর্জরিত শ্রীলংকার পার্লামেন্টের সদস্যরা আজ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। এ নির্বাচনে চার জন প্রার্থী থাকলেও শেষ মুহূর্তে লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। এতে লড়াই এসে দাঁড়িয়েছে তিন জনের মধ্যে। এই তিন জনের মধ্যে কে ডুবন্ত শ্রীলংকার হাল ধরবেন সেই দিকে নজর রাখছেন সবাই।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিক্ষোভকারীরা রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, রনিল প্রেসিডেন্ট হলে তারা মানবেন না। যদিও রনিলকে সমর্থন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন অর্থাৎ রাজাপাকসেদের দল পোদুজানা পেরামুনা। রাজাপাকসেদের অনুগত তকমা পাওয়ায় তাকে প্রেসিডেন্ট পদে মানতে চাইছে না আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ নির্বাচনের ফলে দেখা গেলে রনিল বিজয়ী হয়েছে তাতে চলমান অস্থিরতা বাড়বে বৈ কমবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনে অপর দুই প্রার্থী হলেন মার্ক্সবাদী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা অনুড়া কুমারা দেশনায়েকে; অপর প্রার্থী হলেন ক্ষমতাসীন দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) বা শ্রীলংকা পিপলস ফ্রন্ট থেকে বের হয়ে যাওয়া বিদ্রোহী অংশের নেতা ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সাজিথ প্রেমাদাসা। এক টুইটে তিনি জানান দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি ও তার দল ডালাস আলাহাপ্পেরুমাকে সমর্থন দেবেন। একই সঙ্গে পার্লামেন্টের অন্য বিরোধীদলীয় এমপিরাও আলাহাপ্পেরুমাকে সমর্থন দেবেন।

এদিকে গণরোষের মুখে গত সপ্তাহে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সেই সময়ই বিক্ষোভকারীরা তার কার্যালয় তছনছ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন।

আজ বুধবার লংকান আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিই ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।

করোনা মহামারী ও সীমাহীন অর্থনৈতিক সংকট শ্রীলংকাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এমন নাজুক পরিস্থিতি থেকে সহসাই মুক্তির আশাও দেখছেন না বিশ্লেষকরা। সংকট থেকে উত্তরণে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজনÑ যে সরকার জনগণের আস্থাভাজন হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শ্রীলংকায় আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

প্রকাশিত সময় : ১০:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২

নানামুখী সংকটে জর্জরিত শ্রীলংকার পার্লামেন্টের সদস্যরা আজ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। এ নির্বাচনে চার জন প্রার্থী থাকলেও শেষ মুহূর্তে লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। এতে লড়াই এসে দাঁড়িয়েছে তিন জনের মধ্যে। এই তিন জনের মধ্যে কে ডুবন্ত শ্রীলংকার হাল ধরবেন সেই দিকে নজর রাখছেন সবাই।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিক্ষোভকারীরা রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, রনিল প্রেসিডেন্ট হলে তারা মানবেন না। যদিও রনিলকে সমর্থন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন অর্থাৎ রাজাপাকসেদের দল পোদুজানা পেরামুনা। রাজাপাকসেদের অনুগত তকমা পাওয়ায় তাকে প্রেসিডেন্ট পদে মানতে চাইছে না আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ নির্বাচনের ফলে দেখা গেলে রনিল বিজয়ী হয়েছে তাতে চলমান অস্থিরতা বাড়বে বৈ কমবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনে অপর দুই প্রার্থী হলেন মার্ক্সবাদী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা অনুড়া কুমারা দেশনায়েকে; অপর প্রার্থী হলেন ক্ষমতাসীন দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) বা শ্রীলংকা পিপলস ফ্রন্ট থেকে বের হয়ে যাওয়া বিদ্রোহী অংশের নেতা ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সাজিথ প্রেমাদাসা। এক টুইটে তিনি জানান দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি ও তার দল ডালাস আলাহাপ্পেরুমাকে সমর্থন দেবেন। একই সঙ্গে পার্লামেন্টের অন্য বিরোধীদলীয় এমপিরাও আলাহাপ্পেরুমাকে সমর্থন দেবেন।

এদিকে গণরোষের মুখে গত সপ্তাহে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সেই সময়ই বিক্ষোভকারীরা তার কার্যালয় তছনছ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন।

আজ বুধবার লংকান আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিই ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।

করোনা মহামারী ও সীমাহীন অর্থনৈতিক সংকট শ্রীলংকাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এমন নাজুক পরিস্থিতি থেকে সহসাই মুক্তির আশাও দেখছেন না বিশ্লেষকরা। সংকট থেকে উত্তরণে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজনÑ যে সরকার জনগণের আস্থাভাজন হবে।